সিমলা: অবিরাম বৃষ্টি এবং ভূমিধসে জেরে বিদ্ধস্ত হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। কংগ্রেস দাবি করেছে হিমাচল প্রদেশকে যেন কেন্দ্র সরকার দুর্যোগপ্রবণ এলাকা বলে কেন্দ্র ঘোষণা করে। অবিরাম বৃষ্টি ও ভূমিধসে জেরে দুই রাজ্য মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়রিয়েছে প্রায় ৮১ জন। বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ধসের কারণে আহতদের উদ্ধার এবং ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ বের করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর আগামী কয়েকদিন হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিচ্ছিন্ন কিন্তু ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এই দুর্যোগের কারণে আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এলাকার সকল মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে। প্রধান সচিব (রাজস্ব) ওঙ্কার চাঁদ শর্মা জানিয়েছেন, “গত তিন দিনে অন্তত ৭১ জন মারা গিয়েছেন এবং ১৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। রবিবার রাত থেকে মোট ৫৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” উত্তরাখণ্ডের লক্ষ্মণ ঝুলার একটি রিসর্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক দম্পতি এবং তাদের ছেলে সহ চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে যা সোমবার ভারী বৃষ্টির পরে ভূমিধসে আহত হয়েছিল।
রবিবার থেকে পাহাড়ি রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, শিমলা সহ বেশ কয়েকটি জেলা ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় মোট ২১৪ জন মারা গিয়েছেন এবং ৩৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। সিমলার জেলা প্রশাসক আদিত্য নেগি জানিয়েছেন, “সামার হিল এবং কৃষ্ণ নগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান চলছে। সামার হিল সাইট থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সামার হিল থেকে ১৩টি, ফাগলি থেকে ৫টি এবং কৃষ্ণ নগর থেকে দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ধসে পড়া সামার হিলের শিব মন্দিরের ধ্বংসস্তূপে এখনও কিছু মৃতদেহ চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।