মহানগর ডেস্ক: অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) রিপোর্ট অনুসারে, মধ্যপ্রদেশের ২৩০ টি বিধায়কের মধ্যে অন্তত ৯৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫২ জন কংগ্রেসের এবং ৩৯ জন ক্ষমতাসীন বিজেপির। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “২৩০ জন বর্তমান বিধায়কের মধ্যে ৯৩ জন (40 শতাংশ) বর্তমান বিধায়ক নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন যার মধ্যে ৪৭ (20 শতাংশ) বর্তমান বিধায়ক গুরুতর ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন।
এডিআর রিপোর্ট অনুসারে, এই ৯৩ জন বিধায়কের মধ্যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, ৩৯ জন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি), ৫২ জন কংগ্রেস পার্টির, একজন বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) এবং বাকি একজন স্বতন্ত্র। এটি আরও বলেছে যে, একজন বর্তমান বিধায়ক আইপিসি ধারা ৩০২ এর অধীনে হত্যা সম্পর্কিত মামলা ঘোষণা করেছেন, ছয়জন বর্তমান বিধায়ক আইপিসি ধারা ৩০৭ এর অধীনে হত্যার চেষ্টা সম্পর্কিত মামলাগুলি ঘোষণা করেছেন। বর্তমান বিধায়করা আইপিসি ধারা-৩৫৪-এর অধীনে মামলা ঘোষণা করেছেন। এতে আরও বলা হয়েছে যে, বিজেপির ১২৯ বিধায়কের মধ্যে ৩৯ (৩০ শতাংশ), কংগ্রেসের ৯৭ বিধায়কের মধ্যে ৫২ (৫৪ শতাংশ), বিএসপির একমাত্র বিধায়ক এবং তিনজন স্বতন্ত্র বিধায়কের মধ্যে একজন (33 শতাংশ) অপরাধী ঘোষণা করেছেন। এদিকে, প্রতিবেদনে আরেকটি মজার তথ্য উঠে এসেছে যে, রাজ্যের ২৩০ জন বর্তমান বিধায়কের মধ্যে ১৮৬ জনই ‘ক্রোড়পতি’। এর মধ্যে কংগ্রেসের ৯৭ বিধায়কের মধ্যে ৭৬ জনই রাজ্যে কোটিপতি।
সঞ্জয় শুক্লা কংগ্রেস দলের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক এবং তাঁর মোট সম্পদ ১৩৯ কোটি। শুক্লা ইন্দোর ১ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক এবং এবার তিনি প্রবীণ বিজেপি নেতা কৈলশ বিজয়বর্গিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে, বিজেপির ১২৯ বিধায়কের মধ্যে ১০৭ জনই রাজ্যে কোটিপতি। বিজেপির সবচেয়ে ধনী বিধায়ক হলেন সঞ্জয় পাঠক এবং তাঁর মোট সম্পদ ২২৬ কোটি টাকার বেশি। পাঠক কাটনি জেলার বিজয়রাঘবগড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক।
এছাড়া তিন নির্দল বিধায়কও রাজ্যে কোটিপতি। প্রতিবেদনে রাজ্যের বর্তমান বিধায়কদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে। যার মধ্যে ৬২ জন বিধায়ক তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে ১২ তম শ্রেণির মধ্যে আর ১৫৮ জন বিধায়ক স্নাতক এবং তার উপরে বলে ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া চারজন বিধায়ক নিজেদের ডিপ্লোমাধারী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। একজন বিধায়ককে নিরক্ষর হিসাবে ঘোষণা করেছেন। মধ্যপ্রদেশে ১৭ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে এবং ভোট গণনা ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে৷