মহানগর ডেস্কঃ আবার নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো উত্তরপ্রদেশে। মা হন যিনি, সন্তান কে আগলে রাখেন। কিন্তু এ কেমন মা যে নিজের সন্তান কে নরক যন্ত্রণায় ঠেলে দেয়! দীর্ঘদিন ধরে মা এর পুরুষ বন্ধু, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে,করে ধর্ষণও। তারপর সেই নাবালিকাকেই মা-পুরুষ বন্ধু হুমকি দিতেন যেন কাউকে কিছু না বলে। নাবালিকার মা সব জানা সত্ত্বেও চুপ থাকতো।পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই পুরুষ এবং নাবালিকার মা কে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। নাবালিকার বয়স ১০বছর।
দীর্ঘদিন ধরে মায়ের এক পুরুষ বন্ধু বাড়িতে আসত। সেই অভিযুক্ত পুরুষের নাম জানা যাচ্ছে রাজু। দীর্ঘদিন ধরে ১০ বছরের নাবালিকাকে নির্যাতন করতো এমনকি ধর্ষণও করে। নাবালিকার কাছ থেকে জানা গেছে, তাঁর বাবা চার বছর আগে মারা যান। তখন নাবালিকা এবং তার ১৩ বছর বয়সের দাদা ঠাকুরদা-ঠাকুমার সঙ্গে থাকত। কিন্তু ২০২৩ সালে নাবালিকার মা, তার মেয়ে ও ১৩বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গাজিয়াবাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। জানা যাচ্ছে সেই বাড়িতে মায়ের এক বন্ধু আসত। সেই ব্যক্তি যে শুধু নাবালিকাকেই একাধিকবার যৌন নির্যাতন করে থেমে গেছেন এমনটা নয়। রাজু নামের ওই ব্যক্তি তাঁর ১৩ বছর বয়সী দাদাকেও যৌন নির্যাতন করেছিল। নির্যাতনের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে নাবালিকার দাদা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ১০ বছরের নির্যাতিতা নাবালিকা জানায় যে, বাবার মৃত্যুর পর, টাকা উপার্জন করতে তাঁর মা দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁর মা চাইছিলেন ভবিষ্যতে মেয়েকে এই ব্যবসার দিকে ঠেলে দিতে । সেই কথা জানতে পেরেই ১০বছরের নাবালিকাকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়।
জানা যাচ্ছে, কিচ্ছু না ভেবে ১০ বছরের নির্যাতিতা তরুণী, অসহ্য নরক যন্ত্রণা- নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০ জানুয়ারি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। তারপর দিল্লির রাস্তায় ঘোরাফেরা করতে নাবালিকাকে দেখা গিয়েছিল। তারপর জিজ্ঞাসা বাদ করে নাবালিকাকে দিল্লি পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ সেই নাবালিকার দায়িত্ব, শিশু কল্যাণ কমিটিকে সপে দিয়েছিল। তারপর নাবালিকার কথা শুনে মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়। তাতে জানা গিয়েছে যে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার ভাস্কর শর্মা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘নাবালিকা অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাজু বলেছে। ২০ জানুয়ারি নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পরও তাঁর মা একটাও অভিযোগ দায়ের করেননি। নির্যাতিতা জানিয়েছেন তাঁর মা এবং রাজু এই অপরাধটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্যাতন করত। তাঁর মুখ বন্ধ রাখার জন্য প্লাস ব্যবহার করে তাঁকে হুমকি দিত। নাবালিকার মা সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দিল্লি পুলিশ জানুয়ারিতে এবং তারপরে ৯ এপ্রিল লোনি বর্ডার থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিল। নাবালিকা অভিযুক্তের ভয়ে তটস্থ ছিল। সে প্রথম বলেছিল যে তাঁর সৎ বাবা তাঁকে নির্যাতন করেছে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবালিকার মা এবং তার পুরুষ বন্ধুকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে। নাবালিকার দেখভালশিশু কল্যাণ কমিটি করছে। নাবালিকা এখন সুস্থ আছেন।