মহানগর ডেস্ক: গরবা অনুশীলনে সময় হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যু এক ১৯ বছর বয়সী যুবকের। তড়িঘড়ি কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন চিকিৎসক। ঘটনাটি ঘটেছে জামনগরে। চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন।
গুজরাতে গারবা অনুশীলন করতে গিয়ে মৃত্যু এই প্রথম নয়। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে বিনীত মেহুলভাই কুনওয়ারিয়া নামে ওই গারবা অনুশীলনের সময় আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। অর্থাৎ মাটিতে পড়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা শোনা মাত্রই নিহতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিস্মিত সকলেই।
যুবকের মামা দর্শন জোশিপুরা বলেছেন, “আমার ভাগ্নে গত তিন-চার বছর ধরে গরবা করছেন। কিন্তু কখনই কোনও স্বাস্থ্যের জটিলতা ধরা পড়েনি। গতরাতে অনুশীলনের সময় হঠাৎই পড়ে যান মেঝেতে। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা বলছেন, বিনীতের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, কিন্তু আসল কারণ জানা যাবে। বর্তমানে বিনীতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে, জামনগরের একজন ৪১ বছর বয়সী একজন কার্ডিয়াক ডাক্তার নিজের হাসপাতালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়াও গুজরাতের বেশ কয়েকটি জিম, ক্রিকেট মাঠ এবং স্কুলে এমন হার্ট অ্যাটাকে অল্পবয়সীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২১ শে সেপ্টেম্বর, গুজরাটের জুনাগড়ে ২৪ বছর বয়সী চিরাগ পারমারও গরবা অনুশীলনে সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি গত ১০ বছর ধরে নবরাত্রির সময় গরবা প্রতিযোগিতা জিতে এসেছেন। তাঁর এমনভাবে মৃত্যু রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল সবাইকে।