মহানগর ডেস্ক, গাজিয়াবাদ: গত ১৬ সেপ্টেম্বর একজন ২২ বছর বয়সী মহিলা তাঁর বাগদত্তার সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ অফিসার দ্বারা চরম হেনস্থার শিকার হলেন। গাজিয়াবাদের সাই উপভান শহরের জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি, এবং সেখানেই ঘন্টার পর ঘন্টা দুই পুলিশ এবং সাদা পোশাকের একজন পুরুষের দ্বারা যৌন হয়রানির সম্মুখীন হন ওই মহিলা। ঘটনার দিন তিনজন পুরুষ পুলিশ গাড়িতে চড়ে আসেন। তাঁরা জঙ্গলে কি করছেন, থানায় ধরে নিয়ে যাবেন, এমন ভয় দেখিয়ে দম্পতির কাছে প্রায় ১০,০০০ টাকা দাবি করে। এরপর মহিলাটি ২৮ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি নগর থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেন।
মহিলাটি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, পুলিশ তাঁর বাগদত্তাকে চড় মেরেছে এবং তাঁর গোপনাঙ্গে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছে। তিনি সাহায্যের জন্য পুলিশের জরুরি নম্বরে ফোন করার পরে এবং দিল্লি পুলিশ তাঁর কলটি গাজাইবাদ পুলিশের কাছে ফরোয়ার্ড করেন। এরপরেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্ত তিনজন হলেন কনস্টেবল রাকেশ কুমার, হোম গার্ড দিগম্বর এবং অপরজন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। অভিযোগকারী আরও জানান, সেই তিনজন পুলিশ তথা কে ও তাঁর বাগদত্তাকে বন্দী করে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে হেনস্থা করেন। হয়রানির শিকার হওয়ার সময় তাঁরা দম্পতিকে ১,০০০ টাকা প্রদান করেন।
ওই মহিলার কথায়, “দুপুর ১২টার দিকে তিনজন লোক পিআরভিতে এসে আমাদের হুমকি দিতে শুরু করে। আমার বাগদত্তাকে চড় মারে। আমরা তাঁদের হাত জোড় করে জিজ্ঞাসা করেছি এমনকি তাঁদের পা স্পর্শ করেছি কিন্তু তাঁরা নড়েনি। পরে রাকেশ কুমার খারাপ আচরণ করে এবং আমাকে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্যে জবরদস্তি করতে শুরু করে। তৃতীয় ব্যক্তিটিও ৫.৫ লাখ টাকা দাবি করে। আমাদের সেখানে তিন ঘন্টা ধরে আটকে রাখা হয়েছিল, সন্দেহভাজনরা বারবার আমাকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছিল।” মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে, তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে 354a (1)(ii) ধারায় যৌন হয়রানি এবং যৌন সুবিধার দাবি, 323 (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), 504 (ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং 342 (অন্যায়ভাবে বন্দী) ধারায় মামলা করা হয়েছে। তিন আসামিই বর্তমানে পলাতক।