মহানগর ডেস্ক : বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। শাসন বলতে কিছুই নেই। তাই পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রয়োজন বলে সওয়াল করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং বর্তমান তৃণমূল নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্যের অন্য বিজেপি নেতারা কখনই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেও রাষ্ট্রপতি শাসন দাবি করেননি। কারণ তাঁরা অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনীতিক। তাঁরা জানেন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করলে তার পুরো ফলটুকু তৃণমূল নিজের ঝোলায় তুলবে। তাহলে কি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলছে বঙ্গ বিজেপিকে?
তবে শুধু রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়েই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় থেমে থাকেননি। তিনি দাবি করেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অবাধে হলে, মানুষ ঠিক ভাবে ভোট দিতে পারলে তৃণমূল মুছে যেতে পারে। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই, সাংবাদিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না, ৩৫৬ ধারা জারি হওয়া উচিত।” তিনি বলেন,”সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে পুলিশ। উপর মহলের নির্দেশেই এসব হচ্ছে। হেনস্থা করা হচ্ছে সাংবাদিকদেরও। এটাকে আইনশৃঙ্খলা বলে? সাধারণ মানুষের রোষ সামলাতে পারছে না, সাংবাদিকরা তা তুলে ধরায় তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক অবস্থা। ৩৫৬ ধারা জারি করা উচিত।” সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সন্দেশখালিতে কী হল? মা-বোনেদের উপর অত্যাচার হল। মুখ্যমন্ত্রী একদিনও যাননি। যিনি এলাকার সাংসদ যাননি তিনিও, বরং গান-বাজনা করছিলেন।”
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার অভিজিৎকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “বিচারপতির আসন ছাড়ার দু’দিনের মধ্যে যিনি একটা রাজনৈতিক দলের হয়ে গলা ফাটাতে পারেন…সামগ্রিক ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে কথাগুলি বলেছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কিছু নিয়ম আছে। উনি তো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। উনি জানেন না কী সেই আইন? শুভেন্দু অধিকারীর মতো একসুরে কথা বলছেন। চেষ্টা করে দেখুন না! নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে না দেওয়ার চেষ্টা বিচারপতির আসনে বসেই উনি করেছেন। নিরপেক্ষতা দেখাননি। একটি দলের হয়ে কাজ করছিলেন যে, তা আজকে প্রতিষ্ঠিত।” এখন দেখার ভোটের মুখে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি রাজ্য বিজেপি মান্যতা দেয় কি না।