মহানগর ডেস্ক: বিস্ফোরক! ‘ইসকন’-কে দেশের প্রতারক বলে দাবি করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ মানেকা গাঁধী (Maneka Gandhi)। ভিডিওটি রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। প্রচুর ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি ভিডিওতে বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়েন্স (ইসকন) “দেশের সবচেয়ে বড় প্রতারক মন্দির, কারণ ইসকন কর্তৃপক্ষ তাঁদের গোশালা (গোয়ালঘর) থেকে কসাইদের কাছে গরু বিক্রি করে।” ইন্টারনেটে ভিডিওটি ভাইরাল হতেই, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাণী অধিকার কর্মীকে তুলোধনা করতে শুরু করেছে বিরোধী দল। তিনি ভিডিওতে আরও বলেছেন, “ইসকন গোশালা স্থাপন করার জন্য সরকারের কাছ থেকে বিশাল জমির পেয়েছে। কিন্তু তা অসৎ উপায়ে কাজে লাগিয়েছে। আমি সম্প্রতি তাঁদের অনন্তপুর গোশালা, যা অন্ধ্রপ্রদেশের অবস্থিত, সেই জায়গা পরিদর্শন করেছি! কিন্তু সেখানে একটি গরুও ভালো অবস্থায় পাইনি।”
গোশালায় কোনও বাছুর ছিল না, সুতরাং তখনই আমি টের পেয়েছি সব বাছুর তাঁরা কসাইদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।” ইসকন কে বিস্ফোরক আক্রমণ করলেন মানেকা গান্ধী। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও দাবি করেন যে, “ইসকন তাঁর সমস্ত গরু কসাইদের কাছে বিক্রি করছে। যারা সারাদিন ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ বলে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, সম্পূর্ণ গরুর দুধের উপর নির্ভরশীল, তাঁরাই এই কৃতকর্ম করছে সামান্য টাকার জন্যে”। ভারতের একটি স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী মন্দির ইসকন। যেখানকার সদস্য বেশিরভাগই বিদেশী। রাধা-কৃষ্ণ ও চৈতন্য মহাপ্রভুর বিগ্রহ এই মন্দিরের প্রাণদাতা। আর সেখানেই ভগবানের নামে এই কৃতকর্ম তিনি বরদাস্ত করবেন না বলে হুঙ্কার দিলেন। তবে ইসকন কর্তৃপক্ষ মানেকা গান্ধীর এই অভিযোগ কে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এটি সম্পূর্ণ “অপ্রমাণিত এবং মিথ্যা”। এমনকী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যে তাঁরা রীতিমতো “আশ্চর্য” হয়েছেন। ইসকনের জাতীয় মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বিবৃতিতে বলেছেন, “ইসকন বিশ্বের অনেক অংশে গরুর সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে যেখানে গরুর মাংস একটি প্রধান খাদ্য। বর্তমানে ইসকনের গোশালাগুলিতে অনেক পরিত্যক্ত, আহত বা জবাই করা গরুকে উদ্ধার করার পরে আমাদের কাছে আনা হয়।” অন্যদিকে ইসকনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) রাধারমন দাস একটি ভিডিওতে মানেকা গান্ধীকে তাঁর মন্তব্যের জন্য নিন্দা করেছেন। তাঁর মতে, মানেকা গান্ধী অনন্তপুর গৌশালায় কখনই যাননি, এটি রীতিমতো মিথ্যা, কারণ সেখানে কর্মরত কর্মীদের কাছে তাঁর সফরের তথ্য নেই। তিনি মানেকা গান্ধীকে গৌশালার একটি ভিডিও উপস্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
ইসকন (Iskcon), হরে কৃষ্ণ আন্দোলন নামে পরিচিত, যেখানে পরিকল্পিতভাবে সমাজে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রচার করে এবং জীবনের মূল্যবোধের ভারসাম্যহীনতা পরীক্ষা করার জন্য এবং প্রকৃত একতা ও শান্তি অর্জনের জন্য সমস্ত মানুষকে আধ্যাত্মিক জীবনের কৌশলগুলিতে শিক্ষিত করে তোলে!