মহানগর ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই সরগম দিল্লির রাজনৈতিক মহল। আবগারি দুর্নীতি মামালা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে একাধিক সমন জারি করছে ইডি। অন্য দিকে সেই সমনই নানা বাহানায় এড়িয়ে যাচ্ছেন আপ সুপ্রিমো। এখানেই শেষ নয় শনিবার কেজরিওয়ালের বাড়িতে হাজির হয়েছে ক্রাইম বাঞ্চ। তারপরেই পরেই এবার আপের আরও এক মন্ত্রীর বাড়তে গেল ক্রাইম বাঞ্চের অফিসাররা।
দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ রবিবার দিল্লির মন্ত্রী অতীশির বাড়িতে গিয়েছে। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রাইম বাঞ্চের দল যখন তাঁর বাসভবনে পৌঁছায় তখন অতীশি বাড়িতে ছিলেন না। বিজেপি আম আদমি পার্টির বিধায়কদের কেনার জন্য ২৫ কোটি টাকা করে অফার করছে এই অভিযোগ করেছিলেন দিল্লি সরকারের পিডব্লিউডি মন্ত্রী অতীশি। এই কথা শোনা গিয়েছিল কেজরিওয়ালের গলায়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন তাঁর সরকার ফেলার জন্য বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিজেপি যদিও এই আবি একেবারেই অস্বীকার করেছে। ওই ঘটনা নিয়েই প্রমাণ চেয়ে কেজরিওয়ালের পর অতীশির বাড়ি গেল ক্রাইম বাঞ্চের অফিসাররা। অতীশি একটি প্রেস কনফারেন্স করে ২৫ কোটি টাকা দিয়ে আপের ৭ বিধায়ককে কেনার অভিযোগ করেছিলেন।
জানিয়ে রাখা ভাল, বিধায়ক কেনাবেচার এই অভিযোগ নিয়ে দিল্লি পুলিশ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল, তাঁকে AAP-এর দাবির বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল। অপরাধ দমন শাখা কেজরিওয়ালকে AAP বিধায়কদের নাম প্রকাশ করতে বলেছে যাদের সঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার, সিভিল লাইনসে কেজরিওয়ালের বাসভবনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় যখন ক্রাইম ব্রাঞ্চের দল তাঁকে তদন্তের বিষয়ে নোটিশ দিতে এসেছিল। কেজরিওয়াল X- হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন তাঁকে নোটিশ পাঠানোর জন্য পাঠানো পুলিশ অফিসারদের প্রতি তিনি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং আরও বলেছেন, “দিল্লিতে অপরাধ বন্ধ করা তাদের কর্তব্য কিন্তু তাদের নাটকে যুক্ত করা হচ্ছে৷ সেজন্য দিল্লিতে অপরাধ বাড়ছে।”