মহানগর ডেস্ক: কথা মতই রাজভবনে সাক্ষাৎ হল মোদী মমতার। আরামবাগের সভা থেকে কথা ভাষায় তৃণমূলের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমন করার পরেই কলকাতা ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই রাজভবনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতার সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাইরে যাই হোক প্রটোকল মেনেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা। তাঁদের মধ্যে আধা ঘণ্টা কথা হয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজভবনে সন্ধ্যাবেলা সাক্ষাৎ সেরে বাইরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান তাদের মধ্যে ঠিক কি কথা হয়েছে। কিছুঘণ্টা আগেই মোদী বাংলার শাসক তৃনমূল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধোনা করার পর সকলেই উৎসুক হয়েছিলেন এটা জানার জন্য তাঁদের মধ্যে কি কথা হয়েছে। বাইরে বেড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ”প্রোটোকল মেনে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করলাম। দুজনে গল্প করলাম। রাজ্যের কথা বললাম।” তাঁদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক কথা হয়নি বলেই জানান মমতা। সেই সঙ্গে এটাও সাফ জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর আরামবাগের বক্তব্য নিয়ে আজ কিছু বললেন না। সময় হলে তাঁর দলই সমস্তকিছু জানিয়ে দেবে।
CAA ও বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে মমতা আরও বলেন, “এটা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। এখনও তো নির্বাচনী বিধি লাগু হয়নি। তাই এনিয়ে কোনও কথাও হয়নি। আমরা গল্প করলাম। কারও সঙ্গে বসলে গল্প হয়। এটা রাজনৈতিক বৈঠক নয়। যা বলার জনসভা থেকে বলব। এখানে কিছু বলব না।” উল্লেখ্য, দু দিনের জন্য আজ বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। আরামবাগে সভাতে যোগদান করেই একাধিক প্রকলের কথা শুরুতেই ঘোষণা করার পরেই উঠে আসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। বাংলায় দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে কার্যত শাসক তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন প্রধানমন্ত্রী। টানেন সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়কে। আরামবাগে সভা থেকে শুক্রবার চড়া ভাষায় কটাক্ষ করে বলেছেন, সমাজ সংস্কারক রাজা রাম মোহন রায়ের “আত্মা কাঁদবে” যদি তাকে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের বিষয়ে সচেতন করা হয়।