মহানগর ডেস্ক: অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। কবে ঘোষণা করা হবে লোকসভা নির্বাচনের তারিখ তা জানাল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে যে লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে আগামিকাল অর্থাৎ ১৬ মার্চ, ২০২৪, শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ ।
শনিবার বেলা ৩টেয় দিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। আগামীকাল থেকেই জারি হয়ে যাবে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি। পশ্চিমবঙ্গ সহ যে সমস্ত রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেই নির্ঘণ্টও আগামীকাল ঘোষণা হয়ে যাবে। ভোট ঘোষণার পর কমকরে ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়, তারপর ভোট পর্ব শুরু হয়। তাই মনে করা হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ এপ্রিল ভোট শুরু হবে। তার মধ্যে মনোনয়ন জমা, স্ক্রুটুনি, প্রত্যাহার সংক্রান্ত সব কাজ শেষ করতে হবে।
গত লোকসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় হয়েছিল। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবার ৭ দফার বেশি দফায় বাংলায় লোকসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ যখন কলকাতায় এসেছিল, তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন, তাঁদের দাবিদাওয়া শোনেন। ওই বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন এবং সেই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমরা রাজ্যে এক দফায় ভোট চেয়েছি। কেন দফায় দফায় ভোট হবে? যত দফা বাড়াবে ততো নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ প্রচারে সুবুধা পাবেন।” এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ও মোতায়েন নিয়েও আপত্তি জানিয়ে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও একের বেশি দফায় ভোট করার দাবি তৃণমূল ছাড়া সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে জানান এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার দাবি জানান।
ওই দিনই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, “একটি রাজনৈতিক দল বাদে বাকি সব রাজনৈতিক দল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে একের বেশি দফায় ভোট করার দাবি জানিয়েছে এবং সরকারি আমলাদের সরকারের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়েছেন।” কমিশনের তরফে রাজীব কুমার নির্দেশিকা পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ ও আমলাদের কড়া বার্তা দিয়ে যান। বলেন যে কোনও রকম অশান্তির দায় নিতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে।
তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন ভোট ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেন, “যে ছাত্র ভালো পরীক্ষার দিন ঘোষণা নিয়ে তার চিন্তা থাকে না। বাংলার মানুষ ঠিক করে নিয়েছে বাংলা বিরোধীদের বাংলা থেকে উৎখাত করবে। কোভিডের মধ্যে ৮ দফায় ভোট করেছিল। এবার ৭ কেন তার বেশি দফায় ভোট করুক, ৯২০ কেন ৯২০০ কোম্পানি বাহিনী আনুক আমাদের তাতে কিছু এসে যায় না।” বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গতবার পশ্চিমবঙ্গে ৭ দফায় ভোট হয়। এখানে ভোটে হিংসা হয়। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ৭ দফার বেশি দফায় ভোট হওয়া দরকার।”