মহানগর ডেস্ক: রবিবার সন্ধ্যায় ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ । রবিবার সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিনাগারাম জেলায় এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংঘর্ষে ঘটেছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৪০ জন। করমন্ডল একপ্রেসের পর আবার এই দুর্ঘটনা রেলে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কি কারনে ঘটছে এই দুর্ঘটনা সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
হিউম্যান এরর অর্থাৎ মানুষের ভুলেই ঘটে গিয়েছে এই বেদনাদয়ক ঘতনা। এমনটাই তথ্য সামনে এসেছে। যে তথ্য সামনে এসেছে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে চালকের ভুলেই দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। লাল সিগন্যালের তোয়াক্কা না করেই চালক ট্রেন চালান। তাতেই জা হওয়ার তাই হয়েছে। বিশাখাপত্তনম এবং পালাসার মধ্যে একটি বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন আলামান্ডা এবং কান্তকাপল্লে এর মধ্যে মেন লাইনে ধীর গতিতে ছিল তখনই একটি ভিজাগ-রায়গাদা যাত্রীবাহী ট্রেনটি পিছন থেকে ধাক্কা মারে। ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বজিৎ সাহু জানিয়েছেন, “বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালকই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। রেলের সিগন্যালিংয়ের কোনও সমস্যা ছিল না। প্রাথমিক তদন্ত জানা গিয়েছে, পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ওই লাইনে থাকায়, পিছন থেকে আসা বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে লাল সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চালক সেই সিগন্যাল না মানায় দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি গিয়ে পালাসা প্য়াসেঞ্জার ট্রেনের পিছনে ধাক্কা মারে। ওই চালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও জারি রয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পরই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে।”
ডিআরএম সৌরভ প্রসাদ জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনম-পালাসা ট্রেনের শেষ তিনটি বগি এবং দুটি বগিসহ বিশাখাপত্তনম-রায়গাদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের লোকোমোটিভ লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে এ পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং ২২টি ট্রেন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজিৎ সাহু আর বলেছেন, ভাইজাগ-রায়গাদা ট্রেনের লোকো পাইলটের ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, যিনি সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন। দুর্ঘটনার পরেই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তবে বারবার এই ট্রেন দুর্ঘটনার নিয়ে নানা মহল একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। রেলের কবে ঘুম ভাঙবে এই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।