মহানগর ডেস্ক: অবাক কাণ্ড! শনিবার মধ্যপ্রদেশের মাহুত পদাতিক স্কুলে কর্মরত ইয়ং অফিসার কোর্সের অধীনে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তা আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। ঘটনাটি রবিবার নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। শনিবার ইন্দোর জেলার মহউ থানায় ওই নিখোঁজ সেনাকর্মীর রিপোর্ট নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক রাঠোর পিটিআইকে জানিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, লেফটেন্যান্ট মোহিত গুপ্ত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে নিখোঁজ। ওইদিন সমস্ত অফিসার এবং অন্যান্য পদের কর্মীদের সকাল ৬ টায় শারীরিক প্রশিক্ষণে (পিটি) উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি, পরে তাঁর প্রশিক্ষকরা সঙ্গীদেরকে তাঁর কথা জিজ্ঞাসা করেন। এবং অসুস্থ কিনা জানতে চাওয়া হলে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে দাবি করে সঙ্গীরা। দীপক রাঠোর বলেছেন, “সকাল ৭.৩০ টার দিকে, তাঁর রুম চেক করা হয়েছিল এবং তখন তাঁকে সেখানে পাওয়া যায়নি, তখন কর্তৃপক্ষকে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানানো হয়।
এরপর পুলিশে অভিযোগ করা হয়। পদাতিক স্কুল কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ অফিসারের মোবাইল নম্বর এবং স্থায়ী ঠিকানা পুলিশকে দিয়েছে। তার মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে।” ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের ইটা শহরের শ্রীনগর এলাকায় বসবাসকারী নিখোঁজ লেফটেন্যান্ট মোহিত গুপ্তার বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তাঁর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আর তাঁকে ফোন করা হচ্ছে, ধরা মাত্রই কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) করা হবে। পদাতিক স্কুলের ইয়ং অফিসার্স উইংয়ের একজন প্রশিক্ষক সুবেদার জারমাল সিংয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে, মাউ পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। সূত্রের মতে, লেফটেন্যান্ট গুপ্তাকে শেষবার পিটি ইউনিফর্মে দেখা গিয়েছিল সকাল ৬ টা থেকে সাড়ে সাতটা সময় মহুর মল রোডের পাশে ওয়ালং দ্বারের কাছে ইয়াং অফিসারদের আবাসনে।
তাঁর রুম থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। সেদিন তিনি তাঁর মোটরবাইকটি সেখানে রেখে পায়ে হেঁটেই বেরিয়েছিলেন। কারণ পদাতিক স্কুলে বিভিন্ন ইন-সার্ভিস কোর্সের জন্য অফিসার এবং অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মীদের জন্য কঠোর নিয়ম রয়েছে এবং তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না, কিছু জরুরী প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে, তাদের একটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত একটি আউট পাস নিতে হয়। এরপরেই কর্মীরা তাঁদের পাস দেখে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়।