মহানগর ডেস্ক: জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিকেলেই বৈঠক করেছেন তিনি। ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠক শেষ করেই ভারত-চিন কে নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন হাসিনা।
এদিন এদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামরিক পরমাণু ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত ও অবাধ বাণিজ্যিক সহযোগিতা এমনকি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এদিন ভারত চিন সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। এমনটাই খবর বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে এই বৈঠক।মোদীর সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপ এবং চাপ দেওয়ার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিতান্তই বাণিজ্যিক ও আর্থিক। রক্তের সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গী ভারতের সঙ্গেই। বাংলাদেশে ভোটের আগে হাসিনার দিল্লি সফর রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিকেলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে উপস্থিত হলে, তিনি নিজে দরজায় গিয়ে হাসিনাকে আহ্বান জানান। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ দু’দেশের কর্তারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মোমেন ছিলেন সেখানে। দু’দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করা হয়েছে এদিন। কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণায় সহযোগিতার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব রিসার্চ এবং বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে ‘রুপে কার্ড’ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রেও সই হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।