মহানগর ডেস্ক: আত্মসমর্পণের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে আদালতের কাছে সময় চেয়েছিল বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা। সেই আবেদনই আজ আদালত খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গেই শীর্ষ আদালত নির্ধারিত মূল সময়সীমা অনুযায়ী ২১ জানুয়ারির মধ্যে ১১ আসামিকে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে ।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দোষীদের আত্মসমর্পণের জন্য সময় বৃদ্ধির জন্য যে কারণগুলি উল্লেখ করা হয়েছে তাতে যথেষ্ট কারণের অভাব রয়েছে। বিচারপতি বিভি নাগারত্না এবং উজ্জল ভূইয়ানের বেঞ্চ বলেছে, “আবেদনকারীদের আত্মসমর্পণ স্থগিত করার এবং জেলে ফিরে রিপোর্ট করার জন্য যে কারণগুলি উদ্ধৃত করা হয়েছে সেগুলির কোনও যোগ্যতা নেই কারণ সেই কারণগুলি কোনওভাবেই তাদের আমাদের নির্দেশনা মেনে চলতে বাধা দেয় না।” জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য সময় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বেশ কয়েকজন আসামি আবেদন করার পরে আদালতের এই নির্দেশ সামনে এসেছে । দোষীদের দেওয়া কিছু কারণ ছিল যার মধ্যে ছিল ঘরোয়া দায়িত্ব, ছেলের বিয়ে এবং শীতকালীন ফসল কাটা ইত্যাদি। এর পরেও আত্মসমর্পণ করার জন্য আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনই খারিজ করে দিল আদালত। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত জেলে যেতেই হবে বিককিস বানো মামলায় ধর্ষকদের।
বিলকিস বানো মামলায় যা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট…
সুপ্রিম কোর্ট, ৮ জানুয়ারী, ২০০২ সালের দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১১ আসামির দ্রুত মুক্তির অনুমতি দেওয়ার জন্য গুজরাট সরকারের আদেশ বাতিল করে দিয়েছে। গুজরাট সরকার ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট তারিখে একটি পুরানো মওকুফ নীতি অনুসারে দোষীদের মুক্তি দিয়েছে। বিলকিস বানো সহ বিভিন্ন আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। জানিয়ে রাখা ভাল, সেই সময় বিলকিস বানোর বয়স ২১ বছর ছিল এবং পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০০২ সালে গোধরা ট্রেন পোড়ানোর ঘটনার পরে শুরু হওয়া গুজরাটে দাঙ্গা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১১ জন পুরুষ মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করেছিল। তার তিন বছরের শিশু সহ তার পরিবারের সাত সদস্য মেয়েকেও হত্যা করা হয়।