মহানগর ডেস্ক : টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নের অভিযোগে তৃণমূলের বহিস্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল লোকপাল। এই ঘটনায় লোকসভা ভোটের মুখে প্রবল চাপে পড়লেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের ভার দিয়েছে লোকপাল। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিবিআইকে এই মামলায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন “প্রথম থেকেই আমি যা বলছিলাম সেটাই হল।”
মহুয়া অবশ্য শুরু থেকেই বলছিলেন, “এরপর আমার বিরুদ্ধে সিবিআই লাগিয়ে দেবে”, বাস্তবে সেটাই হল।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, জাতীয় সুরক্ষা লঙ্ঘন করে মহুয়া মৈত্র বড় রকমের দুর্নীতি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। তাঁর সেই অভিযোগকেই এবার মান্যতা দিয়ে লোকপাল তৃণমূলের বহিস্কৃত সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রথম টাকার বদলে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছিলেন এই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেই। তিনিই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি লেখেন। লোকপালকেও তিনিই চিঠি লেখেন। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটিকে তদন্তের নির্দেশ দেন স্পিকার ওম বিড়লা। দুবের অভিযোগের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত সাংসদ পদ খোয়াতে তৃণমূলের সুবক্তা সাংসদকে।
প্রসঙ্গত, মহুয়ার বিরুদ্ধে ইডি আগেই এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করোছে। এবার এর সঙ্গে যোগ হল আর এক কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে জোড়া চাপের মুখে পড়লেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। এই তদন্ত শুরু হওয়ার ফলে তদন্তকারী সংস্থা মহুয়াকে হাজিরায় ডাকলে, ভোট প্রচারে মহুয়া অসুবিধার সম্মুখীন হবেন সেটা নিশ্চিত। তবে তৃণমূল বলছে, মহুয়ার বিরুদ্ধে বিজেপির মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ আখেরে মহুয়াকেই ভোটের ময়দানে ডিভিডেন্ড দেবে।