মহানগর ডেস্কঃ বুদ্ধিমত্তার জোরে এক ১২বছরের নাবালক বাঘের খপ্পর থেকে বেঁচে ফিরল, শুধু তাই নয় সেই চিতাবাঘটিকেও ধরিয়ে দিতে সফল হয়েছে বন দফতরের কাছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার হতেই নাবালকের বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন সকলে।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও জেলায়। নাসিকের বাসিন্দা ১২বছরে মোহিত আহিরে নামের এক বালক ঠিক সময়ে নিজের উপস্থিত বুদ্ধির দ্বারা বাঘকে চমকে দিতে সফল হয়েছে। তারপর এই ঘটনাটির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই সকলের নজর কেরেছে। এই নাবালক উপস্থিত বুদ্ধির কাজে লাগিয়ে নিজের প্রাণ রক্ষা করার পাশাপাশি, চিতাবাঘটিকেও ধরিয়ে দিতে সফল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গেছে, মোহিত ব্যাঙ্কোয়েট হলের একটি দরজার ঠিক পাশের একটি সোফার ওপর বসে মোবাইলে গেম খেলছিল, এমন সময়ে ঘরের দরজা দিয়ে একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়ে,কিন্তু বাঘটি মোহিতকে দেখতে পায়নি। কিন্তু মোহিতের চোখে তা পরে যায়। বাঘটিকে দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করে ছেলেটি ঘর থেকে বেরিয়ে মেন দরজা বন্ধ করে দেয়। ব্যাঙ্কোয়েট হলের নিরাপত্তারক্ষীর ছেলে এই মোহিত। ঘটনাটি ঘটার পর মোহিত তার বাবাকে গোটা বিষয়টি জানায়। তারপরেই বন দফতরের কর্মীদের ডাকা হয় ঘটনাস্থলে, সেইমত বনদফতরের কর্মীরা এসে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
ঘটনাটির বিষয়ে নাবালক জানায়, ‘‘চিতাবাঘটি একেবারেই আমার সামনে ছিল। আমার সামনে দিয়েই ও অফিসের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। আমি চুপিসাড়ে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ি এবং অফিসের দরজাটি বাইরে থেকে বন্ধ করে দিই।’’ অনিল পাওয়ার ব্যাঙ্কোয়েট হলের কর্ণধার এই বিষয়ে বলেন, ‘‘সকাল থেকেই খবর ছিল আমাদের এলাকায় একটি চিতাবাঘ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বন দফতরের কর্মী, পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা সকলেই তাকে খোঁজার চেষ্টা করছিল।” বন দফতরের তরফ থেকে খবর, পুণের, একটি রাজীব গান্ধী জ়ুওলজিক্যাল পার্ক থেকে চিতাবাঘটি পালিয়ে আসে। তার জন্য ১০০ জন কর্মী এই খোঁজার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল, এমনকি ড্রোন ক্যামেরা দিয়েও তার চিতা বাঘের খোঁজ চালানো হচ্ছিল। টানা ৪০ ঘণ্টা তল্লাশির পর, ১২বছরের এক নাবালকের বুদ্ধিমত্তার জোরে তা সম্ভব হলো।