Home Kolkata ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী, শাসক-বিরোধী কাজিয়া!

ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী, শাসক-বিরোধী কাজিয়া!

Central forces in the state, anti-ruling Kazia before the polls were announced

by Mahanagar Desk
28 views

মহানগর ডেস্কঃ ভোট ঘোষণার আগে কোনও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে এটা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা মনে করতে পারছেন না। এখনও দেশে লোকসভা নির্বাচন ঘোষিত হয়নি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এখনও রাজ্যে এসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেনি। তবে তার আগেই বাংলায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছল। এই ঘটনা নজিরবিহীন! শাসকদল থেকে বিরোধী দল সবা পক্ষের নেতৃত্বই বলছেন, ভোট ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও রাজ্যে এসেছে এটা কেউ মনে করতে পারছেন না।

শাসক দল তৃণমূল এভাবে নির্বাচন ঘোষণার আগেই রাজ্যে সেনা বাহিনী পাঠানোর কড়া সমালোচনা করেছে।
অন্যদিকে বিরোধীরা বলছেন, রাজ্যে ভোট মানেই রক্তপাত, এটাই বাংলার ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মানুষকে ভোটদানের ভরসা দিক।

তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “কোথাও কোনওদিন শুনেছেন নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে? আমার প্রশ্ন কাদের তত্বাবধানে থাকবে? কারা পরিচালনা করবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী?”এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “অতীতে আমরা দেখেছি রাজ্যের পুলিশ এবং তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভালো করে মাংস খাইয়ে ভুলিয়ে রাখে। এটা যাতে এবার না হয় তার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এর আগেও পঞ্চায়েত নিবাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে, তার আগের নির্বাচনগুলোতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে এবং তাদের কি ভাবে রাজ্যের পুলিশ বসিয়ে রেখেছে এবং তার পরিণতিতে কি হয়েছে সেটা সারা বাংলা, সারা দেশ দেখেছে। বাংলার ভোট মানেই রক্তপাত, এই ধারা এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে বন্ধ করতে পারে আগামী লোকসভা নির্বাচনে সেটা কমিশনের দেখতে হবে। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেই হবে না, তারা কি করছে, মানুষের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করতে পারছে কি না সেটাই বড় বিষয়।”

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলার ভোট মানেই খুনোখুনি, রক্তপাত। এসব অন্য কোনও রাজ্যে হয় না। তাই অন্য রাজ্যে ভোট ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যেতে হয় না, বাংলায় ভোট ঘোষনার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসতে হয়।”সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশের অধীনে থাকে, তাই থাকবে। তবে দেখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন তৃণমূলের নেতা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে না যায়, মানুষ যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন।”

You may also like

Mahanagar bengali news

Copyright (C) Mahanagar24X7 2024 All Rights Reserved