মহানগর ডেস্ক: ৬০০ কোটির জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন চম্পাই সোরেন। তবে তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা সেই বিষয় নির্বাচনেই আগামীকাল সোমবার হবে আস্থা ভোট। হেমন্ত সোরেন ইতিমধ্যেই আস্থা ভোটের জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারের পরেই বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কায় ঝাড়খণ্ডের প্রায় ৪০ জোট বিধায়ককে হায়দ্রাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। আস্থা ভোটের জন্যই তাঁরা আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬ টায় রাজ্যে ফিরে আসবে। ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আস্থা ভোটে অংশ নিতে বিধায়করা রাঁচিতে ফিরে আসবেন বলেই জানা গিয়েছে। বিধায়করা রাঁচির সার্কিট হাউসে থাকবেন এবং সোমবার একটি বাসে করে বিধানসভায় আনা হবে। বিজেপির অপারেশন লোটাসের ভয়ে শনিবার তাদের তেলেঙ্গানার রাজধানীতে স্থানান্তরিত করা হয় এবং পুলিশের নজরদারিতে হায়দরাবাদের একটি রিসর্টে রাখা হয়। পুলিশ নিরাপত্তা সহ শুধুমাত্র একটি লিফটের মাধ্যমে সকলকে প্রবেশ করানো হয়।
জানিয়ে রাখা ভাল, হেমন্ত সোরেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) আইনসভা দলের নেতা হিসেবে ৩১শে জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে চম্পাই সোরেনকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। একজন প্রবীণ এবং জেএমএমের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একজন, চম্পাই সোরেন শপথ নেন শুক্রবার রাজভবনে। কংগ্রেস নেতা আলমগীর অ্যালান এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সত্যানন্দ ভোগতাও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী হলেওচম্পাই সোরেনকে ১০ দিনের মধ্যে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলেছেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। সেই কারণেই হবে এই আস্থা ভোট। অন্যদিকে হেমন্ত সোরেনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।