মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে বার বারই সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রী। তবে আগেও সে অভিযোগ খণ্ডন করেছে গেরুয়া শিবির। দিল্লিতে বসে বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ তুলেছেন সকান্ত মজুমদার। ফের দুর্নীতি ইস্যতে রাজ্যের তৃণমল সরকারকে আক্রমন করেম বিজেপি সভাপতির। উল্টো দিকে কেন্দ্রীয় বকেয়ার দাবিতে দিল্লিতে এবার ধর্নায় বসতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি জেলা সফর থেকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “১০০ দিনের বকেয়া টাকা না দিলে ২ তারিখ থেকে আমি নিজে ধর্নায় বসব।” তিনি বলেছিলেন “১ তারিখ (ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সাত দিন টাইম দিয়েছি। আমাদের টাকা ফিরিয়ে দাও। মানুষ ঘর পাবেন না, নিজের পরিশ্রমের টাকা পাবেন না, আর তোমরা অট্টালিকায় থা্কবে এটা হবে না। এটা আমি বরদাস্ত করব না। টাকা না পেলে যা করার করব।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার সময় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে তিনি ধর্নায় বসবেন। আগামীকাল ২ ফেব্রুয়ারি তাই সকলের নিজরে রয়েছে মমতার নেওয়া পদক্ষেপের দিকে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে মমতা পাল্টা কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেছেন, ‘১০০ দিনের কাজ, আবাসের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র আমিও দেখতে চাই, কত ধানে কত চাল। ১লা ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সময় দিয়েছি, ২ তারিখ থেকে ধর্নায় বসছি।” ২ ফেব্রুয়ারি থেকে গান্ধীমর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহের সভা থেকে বঞ্চিতদেরও ওই ধরনায় সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সকান্তর দাবি, “বাংলার তরফে ২ লক্ষ ৪০ হাজার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়নি। ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও হিসাব নেই বলেও তোপ সকান্তর। আদৌ প্রকল্পের কাজ শেষ হল কিনা, শেষ না হলে ওই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা কোথায় গেল, তা জানেন না কেউ। গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন এবং শিক্ষাদপ্তরে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির। ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অথচ ট্রেজারিতে বিল জমা পড়ে নি। জনগনের টাকা লঠ করেছে। ক্যাগ রিপোট কে হাতিয়ার করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার কে আক্রমন বিজেপির রাজ্য সভাপতির। পশ্চিমবঙ্গএর প্রাক্তন শিক্ষা মখমন্ত্রী জেলে। শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন, পশ্চিমবঙ্গএর সব জায়গায় দুর্নীর্তি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কোথায়, কি ভাবে খরচ করেছে, হিসেব দেয়নি তৃণমূল সরকার” সরাসরি মমতার স্বরাষ্ট্র দফতরকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তবে স্বরাষ্ট্র দফতরে প্রায় ১ হাজার ১৬৯ কোটির গরমিল, বিজেপির অভিযোগ উডিয়ে পাল্টা আক্রমন শানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে বসে CAG রিপোর্ট তৈরী হলে সপ্রিম কোর্টে যান’। তবে শুধু বিজেপি নিয় এই নিয়ে মুখ খুলেছেন সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য, বলেছেন, “আসলে মিথ্যা বলছে মমতা ।”