মহানগর ডেস্ক : জলাশয় বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণ, তারপর অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও স্বল্প জায়গায় বহুতলের মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা, শেষে ভার না সহ্য করতে পেরে ভেঙে পড়া। ফলস্বরূপ, মৃত্য়ু মিছিল। গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ৫দিন। দেরিতে হলেও অবশেষে লড়েচড়ে বসলো পুরসভা। গড়া হল কমিটি।কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবারই লালবাজার থেকে চিঠি গিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অবৈধ নির্মাণটি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৬ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গড়ল কলকাতা পুরসভা।
অবৈধ নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে তরজা শুরু হতেই পদক্ষেপ। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অবৈধ নির্মাণটি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সাত সদস্যের এই তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার। তাঁর নেতৃত্বে কমিটির ছয় জন সদস্য এই বিপর্যয় কারণ অনুসন্ধান করবেন। এই ৬ জন প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন, সিভিল বিভাগের ডিজি, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার, ঐতিহ্য এবং পরিবেশ বিভাগের ডিজি, কলকাতা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্তা, কলকাতার বি এল আর ও। এছাড়া রয়েছেন কলকাতা পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক মুগ্ধা চক্রবর্তী। পুর কমিশনার ধবল জৈন নির্দেশ দিয়েছেন সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি মেয়রের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।
তিন ফুটের জায়গায় ৬ তলা বাড়ি! প্ল্যান স্যাঙ্কশান নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। কীভাবে পুরসভার তরফে অনুমতি মিললো? তবে কি সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত? বারে বারে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা এই ঘটনার পর থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পদত্যাগের দাবিতে সুর চড়িয়েছে।