মহানগর ডেস্ক: দিল্লিতে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ডাকা নৈশভোজে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদানের সিদ্ধান্ত কি বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরাতে পারে?এই প্রশ্ন তুলে দিলেন ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক কংগ্রেসের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Congress MP Adhir Chowdhury Attacks TMC)। আগামী বছরের লোকসভা ভোটে দেশকে বিজেপি মুক্ত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হটাতে একজোট হয়েছে আঠাশটি অবিজেপি দল।
ইতিমধ্যে তিনটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। প্রতীকও নির্বাচন হয়েছে। শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে তাল ঠোকা শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোট। কীভাবে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কোণঠাসা করা যাবে, তা নিয়ে রণকৌশলের রূপরেখাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মমতার যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে নেমেছে কংগ্রেস। অধীর জানতে চান রাষ্ট্রপতির ডাকা নৈশভোজে মমতার যোগদানের সিদ্ধান্তের পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা।
কংগ্রেস সাংসদের এহেন আক্রমণের পর পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসও নিশানা করেছে তাদের। তারা জানিয়েছে অবিজেপি ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন মমতা। প্রশাসনিক দিক থেকে নির্দিষ্ট প্রোটোকলের ব্যাপারে কংগ্রেস নেতার বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। অধীর বলেছেন যখন বহু অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী নৈশভোজে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন,তখন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একদিন আগে দিল্লি পৌঁছেছেন।
একই ঘরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে সেখানে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ অবাক হয়েছেন এমনকী হল যে মমতাকে ওইসব নেতার সঙ্গে নৈশভোজ যোগ দিতে বাধ্য করল, প্রশ্ন অধীরের। শুক্রবার দিল্লিতে পৌঁছন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিনই ছিল নৈশভোজ। তাঁর প্রশ্ন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কি অন্য কোনও কারণ ছিল।
তাঁর কথার জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন সবাই জানেন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম স্থপতি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে কারো প্রশ্ন করার নেই। পাল্টা বলেন প্রোটোকল হিসেবে নৈশভোজে মুখ্যমন্ত্রী কখন যাবেন, তা স্থির করবেন না অধীর চৌধুরী। এদিকে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও সিপিএম দিল্লিতে মমতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের শিকার হওয়া লোকজনদের বিশ্বাসভঙ্গ করে তারা মমতার দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। দিল্লিতে কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সিবিআই ও ইডি হানা দিয়ে চলেছে। একমাত্র বিজেপি বাংলার মানুষের পাশে আছে।