মহানগর ডেস্কঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটি সুন্দর পরিবেশের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে। পূর্ব রেলস্টেশন ও রেলওয়ে ট্র্যাক পরিষ্কার রাখার জন্য সবসময় বিশেষ গুরুত্ব পালন করে আসছে। যাতে রেলস্টেশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তার জন্য ‘পরিচ্ছন্ন রেল’ নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্দেশ্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রেনে ভ্রমণ বা সফর করতে বহু মানুষ পছন্দ করেন, কিন্তু স্টেশনে নোংরা করার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে সর্বদাই উঠতে থাকে। দেখা যায় ট্রেনের কামরায় ও প্ল্যাটফর্মে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। এই নোংরা পরিবেশ তৈরি হওয়ার জন্য, যাত্রীরা নিজেরাই দায়ী। আবার এমন অনেক যাত্রীও আছেন যারা ট্রেনে বা স্টেশনে, খাওয়া-দাওয়া করে সেই পলিথিন বা জিনিসপত্রের র্যাপারগুলো ফেলে চলে যান, বা বোতল ও বোতলের ঢাকনা ফেলে অপরিস্কার করে চলে যান। যাত্রীদের এরম কাজ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে চলেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খেত্রে ট্রেনে যাতায়াত করা, একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই রেলওয়ে চত্ত্বর পরিষ্কার রাখা জনতার কাম্য।
অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে যাতায়াত করা আমাদের স্বাস্থ্যের খেত্রেও যথেষ্ট ক্ষতিকর। ট্রেনের যাত্রীদের বারবার অনুরোধ করা হয় সহায়তা করার জন্য, তারপরও যাত্রীদের মধ্যে কোনো সচেতনতা দেখা যাচ্ছেনা। আবর্জনা ডাস্টবিন রাখা হয়েছে আবর্জনা ফেলার জন্য তা সত্বেও যত্রতত্র নোংড়া। রেলের দাবি, ‘স্টেশন পরিষ্কার রাখা প্রতিটি যাত্রীর দায়িত্ব। ট্রেন ও স্টেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য বায়ো-টয়লেট, অটোমেটেড ট্র্যাক ক্লিনিং মেশিন ইত্যাদি নানা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আমাদের সকলের জন্যই স্বাস্থ্যকর ও উপভোগ্য। ট্রেন ও স্টেশন পরিষ্কার রাখার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি যাত্রীদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই ‘পরিচ্ছন্ন রেল’ নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব।”
যদি যাত্রীরা সচেতন না হন বা যারা যাতায়াত করছেন তারা যদি নোংরা করা বন্ধ না করেন তাহলে এই সমস্যা কোনওভাবেই সমাধান করা সম্ভব নয়, তাই যাত্রীরা স্টেশন বা ট্রেন নোংরা করলে তার দায় নিতে হবে সেই যাত্রীকেই। এমনকি যারা স্টেশন বা ট্রেনের কামরা নোংরা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও জরিমানা দিতে হবে। এমনটাই রেলের সূত্রে খবর।এই সম্পর্কে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ‘স্বচ্ছতা অভিযান প্রতিদিন চালানো হয়৷ স্টেশন চত্বরের পাশাপাশি রেকের অভ্যন্তরে পরিষ্কার করা হয়৷ তবে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে বারবার।’