মহানগর ডেস্ক: বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একা লরাই করবে। বাম বা কংগ্রেস কারও সঙ্গেই জোট বাঁধবে না তাঁর দল। বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম অংশীদার হওয়া সত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতার সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবার তৃণমূল সুত্রে জানা গেল মমতার এই একলা চল নীতি বেছে নেওয়ার কারণ। এটাও জানা গিয়েছে তৃণমূল একা লড়াই করলেও আগামী পদক্ষেপ তাঁদের কি হতে চলেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর বাংলার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কারণেই নাকি একা লরাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো আগেই অভিযোগ করে বলেছিলেন যে তিনি কংগ্রেসের শীর্ষ কর্তাদের জানিয়েছিলেন তাঁরা ৩০০ আসনে লরাই করুক আর বাকি আসনগুলি আঞ্চলিক দলগুলিকে ছেড়ে দিক। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি কংগ্রেস। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন এদিন তোপ দাগে বলেছেন, ” পশ্চিবঙ্গে জোট কার্যকরী না হওয়ার জন্য কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী-ই হচ্ছেন কারণ ইন্ডিয়া জোট দু’জনকে নিয়ে চিন্তিত। এক, বিজেপি। দুই, অধীর চৌধুরী। মোদী-শাহর কথা শোনা যাচ্ছে অধীর চৌধুরীর গলায়। অধীর চৌধুরী গত ২ বছর ধরে ইডি, সিবিআই নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে চলেছেন। প্রেস কনফারেন্স করছেন। তাঁর বক্তব্যে শুধুই তৃণমূল বিরোধিতা। জুনে পাটনার বৈঠকের পর ১৮০ দিন অতিবাহিত। আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি। জোটের সব শর্ত মেনেছি। আসন ভাগাভাগির জন্য তারা ১২ দিন সময় চাইল। আমরা তা-ও দিলাম। এখন ২১০ দিন অতিবাহিত। এরমধ্যে প্রত্যেকদিন অধীর চৌধুরী তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছেন।”
এছাড়াও তাঁর দেওয়া একাধিক প্রস্তাব কংগ্রেস নাকচ করেছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বাংলায় একলা লড়লেও ইন্ডিয়া জোট থেকে এখনই সরে আসবেন না বলেই জানিয়েছেন মমতা। বিজেপির বিরুদ্ধে লরাই করার জন্য যা যা করনীয় তা করবেন বলেও জানিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচন শেষ হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই তথ্যই মিলেছে তৃণমূল সুত্রে। তবে মমতার ঘোষণার পরেই বুধবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সম্মান করি। উনি আমাদের জন্য প্রেরণার স্রোত। ইন্ডিয়া জোটের বড় স্তম্ভ। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া হতে পারে না।”