মহানগর ডেস্ক : শাস্ত্রে বলে “পঞ্চ ম”-এর দোষে নাকি মানুষের জীবন শেষ হয়ে যায়। তবে এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার সময় নির্বাচনকে শান্তিতে এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে “4M” বা “৪ ম”-এর উপর নজর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, “স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনায় এবার নজর দেওয়া হচ্ছে 4M-এ বা ৪ ম- তে।”
কি এই “৪ ম”? এই “৪ ম” হচ্ছে মাসল বা পেশিশক্তি, মানি বা অর্থশক্তি, মিস ইনফর্মেশন বা ভুয়ো তথ্য এবং মডেল কেড অফ কন্ডাক্ট বা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি।
জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘আমরা ভোটের আগে, ভোটের সময়ে এবং ভোটের পরে রক্তস্নান চাই না। হিংসামুক্ত ভোট করানোর বিষয়ে আমরা দৃঢ়সংকল্প। কিন্তু আমাদের সামনে ‘ফোর এম’-এর চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা তা মোকাবিলা করব এবং দুনিয়ার বৃহত্তম গণতন্ত্রের এই উৎসবকে হিংসামুক্ত রাখতে কাজ করব।’’
রাজীব কুমার এদিন বলেন, “দেশে এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে ভোটে হিংসা নিত্যকার ঘটনা হয়ে গিয়েছে। কমিশন এই সব রাজ্যগুলির উপর নজর রাখবে।”
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের এই কথায় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে বাংলায় নির্বাচনী হিংসা এবার কঠিন হাতে কমিশন মোকাবিলা করবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে বাংলায় নির্বাচন পরবর্তী ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ উঠেছিল। এমনিতেই ভোটের সময় সন্ত্রাস পশ্চিমবঙ্গের চিরাচরিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ ওঠে। তাহলে কি অতীতে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসা, রক্তপাত, প্রাণহানির কারণেই কি পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, ৯২০ কোম্পানি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। যা জম্মু-কাশ্মীরের চেয়েও বেশি!
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, জেলায় অশান্তি হলে তার দায় ডিএম/এসপি-র উপর বর্তাবে। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুলিশ প্রশাসনের যা যা করার, সেটা দ্রুত সেরে ফেলতে হবে। এক জায়গায় যিনি তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করছেন, তাঁকে এবার অন্যত্র বদলি করে দিতে হবে।
সমাজ মাধ্যমে রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করা যাবে, তবে তা যেন কখনই ব্যক্তিগত আক্রমণের পর্যায় না পৌঁছয় সেই বিষয়ে রাজীব কুমার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। আর এই “৪ ম”-এর উপর নজরদারির জন্য থাকছে ২ হাজার ১০০ পর্যবেক্ষক।