মহানগর ডেস্ক : মানুষের দাবির চাইতে নেতার ইচ্ছাই ভারতে বেশি শক্তিশালী, তাও যদি আবার সামনে নির্বাচন থাকে। তাই শত দাবি করেও যে পেট্রল, ডিজেলের দাম কমানো যায়নি লেকসভা নির্বাচনের মুখে সেই দাম এক ধাক্কায় আনেকটাই লিটার পিছু কমিয়ে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। সামনে ভোট, তাই সরকার এখন জনতার সেবক হওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্রতী হয়েছে।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার পেট্রল ও ডিজেলের উপর থেকে ২ টাকা করে আবগারি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নতুন দাম চালু হল আজ ১৫ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে। এর ফলে কলকাতায় পেট্রলের নতুন দাম হল লিটার প্রতি ১০৪.০৩ টাকা আর ডিজেল লিটার প্রতি ৯০.৭৬ টাকা। এই প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। তিনি লিখেছেন, ‘‘পেট্রল ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা করে কমিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীজি আবার প্রমাণ করেছেন ভারতের কোটি কোটি পরিবারের কল্যাণই তাঁর সব সময়ের লক্ষ্য।’’
আমরা দেখেছি, ভোটের মুখে সম্প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম ১০০ টাকা কমিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু ২২ মাস ধরে তেলের দাম চড়া এবং স্থির ছিল। পেট্রলের ছিল লিটার ১০০ টাকার উপরে। ডিজেল ছিল লিটারে ৯০-এর বেশি। আসন্ন ভোটের আবহে তাতেও সুরাহা মিলবে কি না, এই প্রশ্নের মধ্যেই বুধবার কলকাতায় দাঁড়িয়ে তেলমন্ত্রী এর দায় বিশ্ব বাজার এবং তেল সংস্থাগুলির দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। নির্বাচনে সুবিধা পেতেই তেল-গ্যাসের দাম কমায় এই সরকার, বিরোধীদের এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তাঁরা ভোটের কথা মাখায় রেখে দাম কমান না। দরিদ্ররাই শুধু রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি পাবেন বলেও দাবি করেছিলেন হরদীপ সিং পুরী। তবে তার পরেই পেট্রল, ডিজেলের দাম কমাল কেন্দ্র। তাই বিরোধীরা বলছেন, “নরেন্দ্র মোদী সরকারের জনকল্যাণ ভোটের আগে উথলে ওঠে। ভোট মিটলেই আবার জনতাকে জাতাঁকলে পেষা শুরু করবে মোদী সরকার।