মহানগর ডেস্ক : নির্বাচনী বন্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলে সমালোচনায় সরব হলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী। অর্থমন্ত্রীর স্বামী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পরাকলা প্রভাকর বলেছেন, নির্বাচনী বন্ড শুধু ভারতের নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। তাঁর অভিমত, এর জন্য নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে ভুগতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, এই নির্বাচনী বন্ড আগামী দিনে আরও বেশি করে প্রচারিত হবে।
পরাকলা প্রভাকর বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা সকলে দেখতে পেয়েছেন। সকলে এটাও বুঝতে পেরেছেন, এটি শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে ব়ড় দুর্নীতি। এটা বিজেপিকে ভোগাবে বলেই মনে হয়। এই দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের বর্তমান সরকারকে ভোটারেরা শাস্তি দেবেন।’’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ডের যে তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাতে দেখা গিয়েছে নির্বাচনী বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি। ভারতের স্টেট ব্যাঙ্ক শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশনকে এই নির্বাচনী বন্ডের তথ্য বিস্তারিত ভাবে দিতে বাধ্য হয়, প্রথমে স্টেট ব্যাঙ্ক রাজনৈতিক দলের কায়দায় এই তথ্য দিতে গড়িমসি করছিল। নুর্বাচন কমিশন প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজেপি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৬,৯৮৬ কোটি টাকা পেয়েছে। তালিকায় তাদের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নাম। তারা ওই সময়ের মধ্যে পেয়েছে ১,৩৯৭ কোটি টাকা। কংগ্রেস পেয়েছে ১,৩৩৪ কোটি টাকা। শীর্ষ আদালত নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছে। যদিও বিজেপি, তৃণমূল এমন ভাব করছে যেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় এসে এই দলগুলিকে বিপুল পরিমাণ টাকা বন্ডের মাধ্যমে দিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তো বলেই দিয়েছেন, তৃণমূলের উন্নয়নমূলক কাজ দেখে তৃণমূল ভবনে রাখা ড্রপ বক্সে বিভিন্ন কোম্পানি হয়তো স্বেচ্ছায় এসে টাকা দিয়ে গেছে বন্ডের মাধ্যমে, আর কারা এই টাকা দিয়েছে? সেটা তৃণমূল জানেই না!