মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে হয়েছে দফায় দফায় বৈঠক। তবে তা সত্বেও মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র। তাই ফের আবার দিল্লির রাজপথে নামছেন কৃষকরা। নিজেদের দাবি পুরণের জন্য কোনও রকম চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না। কেন্দ্রর সঙ্গে কৃষকদের বৈঠকে কেন্দ্র জানিয়েছিল আগামী ৫ বছর তিন ধরনের ডাল, ভুট্টা ও তুলোর ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) গ্যারান্টি দেওয়া হবে। কিন্তু কৃষক সংগঠন কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাবে একেবারেই রাজি নয়। ঠিক এই কারণেই “দিল্লি চলো” এই ডাকেই সামিল হয়েছে। ট্রাক্টর সহ বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক জিনিস নিয়ে হরিয়ানা পাঞ্জাব সীমান্ত পার করার উদ্যোগ নিয়েছে।
ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP) গ্যারান্টি নিয়ে কেন্দ্রের সাথে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরে কৃষকরা আজ পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে তাদের ‘দিল্লি চলো’ প্রতিবাদ মিছিল শুরু করতে প্রস্তুত। জানা গিয়েছে প্রায় ১৪,০০০ কৃষক সীমান্তে জড়ো হয়েছে। সেই সঙ্গেই রয়েছে ১,২০০টি ট্রাক্টর ট্রলি, ৩০০টি গাড়ি এবং ১০টি মিনি-বাস। কৃষকদের এই আন্দোলন নিয়ে ফের দিল্লি উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলা দেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশ সতর্ক হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের এই বিক্ষোভ বড় প্রভাব পড়তে পারে বলেই অনেকেই আশঙ্কা করছেন। কারণ এর আগেও কৃষকদের আন্দোলন দেখেছে গোটা দেশ। কেন্দ্র যে কৃষি আইন প্রনয়ণ করেছিল তা প্রত্যাহার করাতে বাধ্য করেছে। তাই কৃষকদের জেদ আর আন্দোলনের তেজ খুব ভাল করেই জানে মোদী সরকার।
প্রতিবাদ পুনরায় শুরু করার আগে, কিষাণ মজদুর মোর্চা নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের জানিয়েছেন যে কৃষকরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে, সরকারকে ব্যারিকেডগুলি অপসারণ করার জন্য এবং তাদের বিনা বাধায় দিল্লিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করবে। তিনি আরও বলেছেন, “আমরা আমাদের দিক থেকে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমরা মিটিংয়ে অংশ নিয়েছি, প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, এবং এখন কেন্দ্রীয় সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ থাকব… আমাদের এই বাধাগুলি অপসারণ করার এবং অভিমুখে যাত্রা করার অনুমতি দেওয়া উচিত।” তবে যাই হোক দিল্লি জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কৃষকদের যাত্রা আটকাতে হাইওয়েতেও পেরেকের স্ট্রিপ বসানো হয়েছে। গোটা রাস্তা জুড়ে সিমেন্টের ব্যারিকেড, কাঁটাতার, শিপিং কন্টেনার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে ।