মহানগর ডেস্কঃ বাবাদের কাছে কন্যাসন্তানরা বেশি আদরের হয়। গোটা বিশ্ব জানে এই কথা। যাকিছু আদর আবদার মেয়েরা মায়ের থেকে বাবার কাছেই করে থাকে। এক কথায় মেয়েরা তাঁদের বাবার কাছে রাজকন্যার মতই থাকে। কিন্তু সম্প্রতি সে খবর সামনে এসেছে তাতে এই ধারনা এক মুহূর্তের জন্য বদলে যাবে। নিজের মেয়েকে খুন করলেন বাবা, সেই সঙ্গেই নিজেও করেছেন আত্মহত্যা। হ্যাঁ, এমটাই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, এক বাবা তার ৮ বছরের কন্যাকে নিয়ে ঘুরতে বেড়াচ্ছেন, এই বলে বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু বাবা মেয়ের দুজনেরই কারও ফেরা হল না । স্ত্রী যখন দেখলেন স্বামী, মেয়ে এখনো বাড়ি আসেনি, তাই দেখে স্বামীর অফিসে যান স্ত্রী । অফিসের দরজা খুলে দেখেন স্বামী এবং কন্যা দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় হায়দরাবাদের হিসার অঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে । মৃত ব্যক্তির নাম সন্দীপ গয়াল, বয়স ৩৫। জানা যাচ্ছে সন্দীপ, ২০১৬ সাল থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতেন । সন্দীপের স্ত্রী জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে তার স্বামী বলে বেরোয় মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন, এই বলে স্কুটারে চেপে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে । কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও বাড়ি ফিরছিলেন না সন্দীপ, ফোন করেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই খসোজা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান সন্দীপের স্ত্রী তাদের খোঁজ করতে। কিন্ত সেখানে গিয়ে চক্ষু চরক গাছ মহিলার। অফিসের দরজা খুলে দেখেন স্বামী মেয়ে দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছে।
মৃতার স্ত্রী পুলিশ কে জানান তাঁর স্বামী কে যখন কোনো ভাবে ফোনে পাচ্ছিলেন না তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আসেন ।কারণ তার স্বামী পশুচিকিৎসা এবং রেডিয়োলজি বিভাগে কাজ করেন। এখানে প্রায়শই কাজের জন্য দেরি হয়। তাই তাদের খুঁজতে এখানে আসেন, এখানে এসে দেখেন সন্দীপের স্কুটার দাঁড় করানো রয়েছে, তো বুঝতে পারলেন তার স্বামী মেয়ে এখানেই আছে। সেইমতো সন্দীপের অফিসের দিকে যান তিনি। অফিসের রুমের সামনে গেলে দেখতে পান যে, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তা দেখে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের খবর দেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনি দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্বামী এবং তাঁর মেয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। ঘটনাস্থলে পুলিশকে ডেকে পাঠানো হয়। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ” সন্দ্বীপ প্রথমে সার্জিকাল ব্লেড দিয়ে মেয়ের গলা চিরে খুন করেছেন, একই ব্লেড দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন তিনি।” তবে এই আত্মহত্যার নেপথ্যে কি কারণ রয়েছে তা নিয়ে বাঁধছে সন্দেহের দানা। হায়দরাবাদের পুলিশ জানিয়েছে, মানসিক অবসাদ নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে ।