মহানগর ডেস্ক: সময় দেখার জন্য প্রাচীনকালে ছিলনা ঘড়ি । তখন সময় নির্ধারন করার একমাত্র উপায় ছিল সূর্য। ছায়ার দিকে লক্ষ্য রেখেই অনায়াসে আন্দাজ করা যেত সময়। তবের যুগের পরিবর্তনে সময় দেখার কায়দা বদলেছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন প্রত্যেকের মুঠোবন্দি সময়সূচী। তবে এবার বিশ্বকে অবাক করে দেওয়ার মতো একটি ঘড়ি নির্মিত হয়েছে, যাতে কেবল সময় নয়। গ্রহের অবস্থান থেকে শুরু করে, শুভ সময় সহ ইত্যাদি তথ্য জানতে পারবেন এক দেখাতেই।
এমন ঘড়ি বিশ্বে একেবারে নজিরবিহীন। মূলত সূর্যোদয়ের উপর ভিত্তি করেই চলবে এই ঘড়ি। জানা যাচ্ছে আগামী ১ মার্চ মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়ীন জেলায় উদ্বোধন হবে এই ঘড়ির। যন্তর মন্তরে ৮৫ ফুট উঁচু টাওয়ারে বসানোর কথা হচ্ছে ওই ঘড়ির। সূত্রের খবর প্রধান মন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হবে ওই ঘড়ির। এই ঘড়ি নাকি একসঙ্গে গ্রহের অবস্থান, দিনের শুভ সময় সহ-জ্যোতিষশাস্ত্রের খুঁটিনাটি আপনাকে জানাতে সক্ষম হবে।ভারতীয় সময় ও গ্রীনিচের সময় একিইসঙ্গে দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই অভিনব বেদিক ঘড়িটি যে দল নির্মান করেছেন, সেই দলের একজন অন্যতম সদস্য, শিশির গুপ্তা এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ঘড়িটিই নাকি বিশ্বের প্রথম বেদিক ঘড়ি। একক সূর্যোদয়ের সময়ের পর থেকে পরবর্তি সূর্যীদয়ের সময়টাকে ৩০ ভাগে ভাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হিন্দু রীতিতে যাকে ‘শুভ মুহূরৎ’ বলা হয় সেই সময়ের সময়সূচীও দেখা যাবে এই ঘ্রিতেই।সঙ্গে জানতে পারবেন দিনের শুভ তিথিও।এ বিষয়ে মহারাজা বিক্রমাদিত্য রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর শ্রী রাম তিয়ারী জানিয়েছেন, এই প্রথমবার ভারতীয় মতে সময় হিসাব করা যায় এমন ঘড়ি নির্মান করা হচ্ছে। প্রায় ৩০০ বছর আগে নাকি এই উজ্জ্বয়ীনিই সময় ঠিক করে দিত। সেটাই ছিল তখনকার স্ট্যান্ডার্ড টাইম। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম এই প্রকপ্লের জন্য শিলান্যাস করেন মধ্যপ্রদেশের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব।