মহানগর ডেস্ক: লোকসভা ও বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব (Women Reservation Bill) নিশ্চিত করা নিয়ে বিলে সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রের ক্যাবিনেট। সোমবার সন্ধ্যায় বিলটিতে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। তবে এনিয়ে কেন্দ্র এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি এবং ক্যাবিনট বৈঠকের পর কোনও বিবৃতিও জানায়নি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্তব্য করেছিলেন সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যার প্রেক্ষিতে এই বৈঠক নিয়ে কৌতূহল, আগ্রহের সঞ্চার হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, সংসদবিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি ও বিজেপির প্রধান জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর বহুদিন হিমঘরে পড়ে থাকা মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আশার সঞ্চার হয়। জল্পনা চলছিল ক্যাবিনেট মহিলা সংরক্ষণ বা অন্য অনগ্রসর শ্রেণি, এক দেশ এক ভোট ও এমনকী দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে বিলে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে।
ক্যাবিনেট বৈঠকের পর সেই আশা অনেকটাই পরিষ্কার হয় তবে কেন্দ্র নিয়ম অনুযায়ী এ নিয়ে ব্রিফিং এড়িয়ে যাওয়ায় চাপা উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে এরপর মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস নিয়ে সবুজ সঙ্কেতের বিষয়টি স্পষ্ট হতে শুরু করে। সন্ধ্যের পর কংগ্রেসের কমিউনিকেশন-ইনচার্জ জয়রাম রমেশ এক্সে পোস্ট করে জানান মহিলা সংরক্ষণ কার্যকর করা নিয়ে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তাঁরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন। বিলটির বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষাও করছেন বলে জানিয়েছেন জয়রাম রমেশ।
তবে বিশেষ অধিবেশনের আগে এনিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনা হলে খুবই ভালো হতো। তাতে গোপনীয়তার আড়ালের বদলে মতৈক্য তৈরি হতে পারতো। ঘটনা হল ২০০৮ সালে বিলটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১০ সালে বিলটি রাজ্যসভায় পাস করার পর একরকম হিমঘরেই ছিল। কখনও লোকসভায় তা পেশ করা হয়নি। যদিও বিলটি বরাবরই বিলটিকে সমর্থন করে এসেছে বিজেপি ও কংগ্রেস। তবে অন্য বিরোধী দল এনিয়ে বাধা দিয়েছে এবং তাদের বিরোধিতার জেরে অনেক প্রতিবন্ধকতাও দেখা দেয়।
তারা দাবি করেছিল বিলে মহিলাদের কোটার মধ্যে অনগ্রসর শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। সংসদের অধিবেশনের আগে বিরোধী নেতারা মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে চাপ সৃষ্টি করে। এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীও এ নিয়ে দাবি জানিয়েছিল। রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়া দলগুলি জোরালো চাপ সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে বিষয়টি তোলা হয়।