মহানগর ডেস্ক: মুহর্মুহু গুলি, বারুদের ধোঁয়া। টানা পাঁচদিন ধরে কাশ্মীরের অনন্তনাগে আধাসামরিকবাহিনী-সহ কয়েক হাজার সেনা অভিযান চলছে ( Heavy Army Operation In Kashmir)। গাদোলের জঙ্গলের গভীরে প্যারা কমান্ডাররা দিন রাত এক করে জঙ্গি নিকেশে গুলির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ঘন জঙ্গলে লড়াইয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা চড়াই উৎরাই ও গভীর জঙ্গলকে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার করে চলেছে।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া দুপক্ষের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লড়াই একশো ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে। জঙ্গি নিকেশ করার লড়াইয়ে তিনজন অফিসার, যাঁদের মধ্যে দুজন সেনাবাহিনীর এবং দুজন পুলিশ শহিদ হয়েছেন। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গভীর অরণ্যে আত্মগোপন করে লুকিয়ে থেকে কৌশল বদলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে চোরাগোপ্তাভাবে লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কাশ্মীরে জঙ্গিরা ভূস্বর্গের নিরাপত্তা কাঠামোর বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে এমনই নয়া কৌশলের ইঙ্গিত মিলেছে বলে সেনা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে।
একশো ঘণ্টায় নিরাপত্তা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করে কয়েকশো মোটর শেল এবং রকেট হানা চালিয়েছে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের গোপন ডেরা নিশানা করে। উচ্চপ্রযুক্তি সরঞ্জাম ব্যবহার করে আঘাত হানে সেনাবাহিনী। উপত্যকায় সময়ে সময়ে আলপাইন জঙ্গলে ভয়ঙ্কর শব্দে বিস্ফোরণ ও ভয়ঙ্কর গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। শনিবার এনকাউন্টার স্থল ঘুরে গিয়েছেন সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কমান্ডের চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি। সেখানে তাঁকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ফায়ার পাওয়ার ব্যবহারের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে জানানো হয়।
অভিযানে ব্যবহার করা ড্রোনের ছবি প্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাত থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ জঙ্গলে যৌথ অভিযান শুরু করে। পরের দিন জঙ্গিদের ডেরায় হানা দেয়। গভীর জঙ্গলে আটকে পড়া জঙ্গিরা তা আঁচ করতে পেরে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। জঙ্গিদের পাল্টা হানায় কর্নেল মনপ্রীত সিং ও মেজর আশিস ধোনচাক এবং পুলিশের ডিএসপি মারা যান। আরও দুজন জখম হন। আরেকজন নিখোঁজ বলেই মনে করা হচ্ছে।