মহানগর ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ৪ বছর ধরে আটকে থাকা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (CAA ) দেশজুড়ে কার্যকর করেছে মোদী সরকার। এই নিয়েই এবার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি শুরু থেকেই এই আইনের বিরোধীতা করে আসছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “সিএএ বৈধ হলে আগের কোনও অধিকার কি থাকবে না? তারা তো ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, পুরসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচন করেছেন। তাদের অধিকার কী কেড়ে নেওয়া হবে? এটা হলে আমরা প্রতিবাদ করব। আমরা সিএএতে কোনও বৈষম্য থাকলে মানব না। রুল ফ্রেমে কি আছে দেখে যা বলার মঙ্গলবার হাবড়ার সভা থেকে বলব।” মমতা আরও বলেছেন, “কেন ২০২০ সালে সিএএ আইন হওয়ার পর এতোদিন লাগল সিএএ চালু করতে? কেন ভোটের মুখে সিএএ চালু করছে? পোর্টালে ওরা নাম লেখাতে বলবে। আমি বলছি সব ধর্মের মানুষ সিএএ-র পোর্টালে নাম লেখান। এই সিএএ চালু হলে কি আগের আইন বাতিল হয়ে যাবে? এসব আমরা মানব না।”
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারই ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে বলেছেন, “বাংলায় সিএএ, এনআরসি হতে দেব না।”
উল্লেখযোগ্য ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্ন থেকে একবারও বললেন না, “সিএএ হতে দেব না। বৈষম্য থাকলে মানব না। আগে রুল ফ্রেম দেখি। নির্বাচনের আগে এটা একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা।” এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও সিএএ নিয়ে মানুষকে উস্কাচ্ছেন। গন্ডোগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন। প্রমাণ হল মুখ্যমন্ত্রী সিএএ কার্যকর হতে দেব না বলে মিথ্যা কথা বলছিলেন। এটা সংসদে পাস হওয়া আইন। তাহলে উনি বলুন লোকসভা, রাজ্যসভা মানেন না। এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে সব চলে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যে সিএএ চালু করতে দেবেন না বলতেই পারেন না।”