মহানগর ডেস্ক : রাজনীতিতে নবীনদের জয়গান গাইতে সবকটিনরাজনৈতিক দল যখন ব্যস্ত তখন লোকসভা নির্বাচনে শতায়ু ভোটারদের দিকে বাড়তি নজর দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার ১০০ পার করেছেন এমন বয়স্ক ভোটারের সাংখ্যা ২ লক্ষ ১৮ হাজার। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। এই মানুষগুলো স্বাধীনতার আগের ভারত এবং স্বাধীনতা পরবর্তী ভারত দেখেছেন। ললবাহাদুর শাস্ত্রী, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধি থেকে শুরু করে এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্ব দেখছেন। এই মানুষগুলো এক সময় ভারতের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রায়ত্ত হতে দেখেছেন, এখন আবার বিলগ্নিকরণ দেখছেন। তাঁরা ভারতের অনেক সামাজিক,রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক অবস্থা, ইতিহাসের সাক্ষী। এবার এই শতায়ু মানুষগুলো ভোট দেবেন।
এবার প্রবীণ ভোটার সংখ্যার হিসাবে নেহাত কম নয়। ১০০ বছর বয়স্ক ভোটার ছাড়াও এবার প্রচুর বয়স্ক ভোটার ভোট দেবেন। এবার এই বয়স্ক ভেটারের সংখ্যাটা ৮২ লক্ষ।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই প্রবীণ মানুষগুলোকে ভোট দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। কি ভাবে এই মানুষগুলো ভোট দিতে পারবেন সেটা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে যে পদ্ধতি উল্লেখ করা আছে সেই অনুযায়ী এই প্রবীণ ভেটাররা আবেদন করলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁদের বাড়ি গিয়ে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করবে বলে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
একটা সময় ছিল যখন ভোটের দিন বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় রাজনৈতিক দলের বুথ কর্মীরা রিকশা নিয়ে প্রস্তুত থাকতেন। তাঁদের নজর থাকত কোন বাড়িতে কজন বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষ আছেন যাঁরা নিজেরা ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন না, তাঁদের বিভিন্ন দলীয় কর্মীরা রিকশা করে বুথে নিয়ে এসে ভোটদানের ব্যবস্থা করে দিতেন। এখন দিন বদলেছে। তাই এই পদ্ধতিতেও বদল এসেছে। এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশন বয়স্ক ভোটারদের বাড়ি পৌঁছে তাঁদের ইচ্ছে থাকলে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এর ফলে ওই প্রবীণ ব্যক্তির ভোট তিনি তাঁর ইচ্ছে,পছন্দে এখন দিতে পারবেন। আগে যে রাজনৈতিক দলের রিকশা চড়ে ভোটের বুথে তাঁরা যেতেন, তখন সেই রাজনৈতিক দলের কর্মীর দ্বারা সামান্যতম প্রভাবিত হওয়ার যে সম্ভাবনা থাকত, তাও এখন থকছে না।