মহানগর ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। ময়দানে নেমেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশজুড়েই প্রচার করছেন তিনি। তুলে ধরছেন গত ১০ বছরে বিজেপি সরকারের করা কাজের খতিয়ান। আজ উত্তরাখণ্ডে প্রচারে গিয়ে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়েই কথা বলেছেন নমো। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে প্রচারে নেমে মোদী বলেছেন, “আজ দেশে একটি শক্তিশালী সরকার রয়েছে। এই ‘মজবুত মোদী সরকার’ আতঙ্কবাদীদের ঘরে ঢুকে মেরে আসে। যখনই আমাদের দেশে সরকার দুর্বল হয়েছে তখন আমাদের শত্রুরা সুবিধা নিয়েছে।” সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে এবং পূর্ববর্তী সরকারকে নিশানা করে বলেছেন, অতীতে দুর্বল এবং অস্থিতিশীল সরকারের কারণে ভারতে সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। তবে মোদী সরকারের জামানায় এই সমস্ত কিছুই করা যাবে না বলেই সাফ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্টে সন্ত্রাসবাদীরা এখন ভারতকে ভয় পায় বলেই দাবি করেছেন তিনি। বিজেপির বিজয় সংকপাল সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ভারত আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রেও ভারতের তেরঙা নিরাপত্তার গ্যারান্টি হয়ে উঠেছে ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘গতকাল আমি ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত তামিলনাড়ুতে ছিলাম এবং সেখানকার মানুষও বলছে এবারেও আসবে মোদী সরকার। আজ আমি হিমালয়ের কোলে বাবা কেদার এবং বদ্রীর পায়ের কাছে এবং এখানেও একই প্রতিধ্বনি – আবারও আসবে মোদী সরকার’।” মোদীর কোথায়, “আজ দেশে এমন একটি সরকার রয়েছে যা ভারতকে উন্নত করেছে। আগের তুলনায় গত ১০ বছরে এটি অনেকবার শক্তিশালী হয়েছে। দেশে যখনই দুর্বল ও অস্থিতিশীল সরকার এসেছে, শত্রুরা সুযোগ নিয়েছে, সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। ” এর পরেই উন্নয়ের কথা তুলে ধরে নমো বলেছেন, ” ৭ দশক পর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন করা হয়েছে। লোকসভা এবং বিধানসভায় মহিলারা ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ পেয়েছেন। সাধারণ শ্রেণীর দরিদ্ররাও ১০ সংরক্ষণ পেয়েছে।
আগের কংগ্রেসের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশ শাসনের কথা তুলে ধরে নিশানা করে বলেছেন,” কংগ্রেসের সময়, সৈন্যদের এমনকি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের অভাব ছিল। শত্রুর গুলির হাত থেকে রক্ষার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ছিল না। এটা বিজেপি, যে তার সেনাদের ভারতীয় তৈরি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট দিয়েছে এবং তাদের জীবন রক্ষা করেছে। আজ আধুনিক রাইফেল থেকে শুরু করে ফাইটার প্লেন এবং এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার সবকিছুই দেশেই তৈরি হচ্ছে।”