মহানগর ডেস্ক: রেস্তোরাঁয় নিশ্চয় পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে মাঝেমাঝেই খেতে যান। খাওয়াদাওয়াটাও করেন জমিয়ে। খাবার পরে রেস্তোরাঁ যে বিল দেয়, তাতে নিশ্চয় সার্ভিস চার্জও লেখা থাকে। কিন্তু জানেন কি নয়ডায় এই সার্ভিস চার্জ নিয়ে কদিন আগে কী ধুন্ধুমার কাণ্ডটাই না হয়ে গেল। সেখানে নামী হোটেল স্পেকট্রাম মলে খাওয়াদাওয়ার পর সার্ভিস চার্জ (Service Charge Controversy) দিতে একটি পরিবার রাজি না হওয়ায় তাদের সঙ্গে রেস্তোরাঁ কর্মীদের তুমুল ঝামেলা হয়। প্রচণ্ড দুর্ব্যবহারের পর দু পক্ষের মধ্যে মারপিটও বেধে যায় (Fierce Fight)। মলের মধ্যে দু পক্ষের মারপিটের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
এরপরই এ দেশে সার্ভিস চার্জের নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন শুরু হয়েছে। বহু মানুষই প্রশ্ন তোলেন এদেশে রেস্তোরাঁ ও বারে সার্ভিস চার্জ দেওয়া বাধ্যতামূলক কিনা। এই ঘটনার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের কনজিউমার বিষয়ক বিভাগ রেস্তোরাও ও বারগুলিতে সার্ভিস চার্জ নিয়ে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কী লেখা রয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে? বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে রেস্তোরাঁগুলি কোনওভাবেই সার্ভিস চার্জের ব্যাপারে ক্রেতাদের জোর করতে পারে না। যেহেতু ব্যাপারটি ক্রেতাদের ইচ্ছের ওপর নির্ভরশীল,তাই জোর করা যাবে না।
ক্রেতা যদি পরিষেবার সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তিনি সার্ভিস চার্জ না-ও দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে জোর করা যাবে না। এতে স্পষ্ট যে ক্রেতাদের পক্ষে সার্ভিস চার্জ বাধ্যতামূলক নয়। রেস্তোরাঁর পরিষেবা নিয়ে ক্রেতা সন্তুষ্ট না হলে বিল থেকে সার্ভিস চার্জ বাদ দিতে হবে। আইনি দিক থেকেও সার্ভিস চার্জ দিতে না চাওয়া ক্রেতার বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
যদি বিলে সার্ভিস চার্জ বিলে লেখা হয়, ক্রেতা চাইলে তা বাদ দিতে হবে রেস্তোরাঁ বা বার কর্তৃপক্ষকে। বিলে যদি সার্ভিস চার্জ লেখা হয়, তাহলে ক্রেতা নতুন বিল অবশ্যই চাইতেই পারেন। রেস্তোরাঁ বা বার কর্তৃপক্ষ ক্রেতাকে নতুন বিল দিতে বাধ্য। সার্ভিস চার্জ না দেওয়ায় কোনও জরিমানাও দিতে হবে না ক্রেতাকে। সার্ভিস চার্জ দেওয়া বা না দেওয়া ক্রেতার ওপর পুরোটাই নির্ভর করছে।