মহানগর ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে গোটা দেশজুড়েই সাজো সাজো রব। প্রচারের ময়দানে ঝড় তুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচার সেরেছেন। প্রতিদিনই তাঁর চরম ব্যস্ততায় কাটছে। এখন অপেক্ষা শুধু ভোটের দিন ঘোষণার। ১৩ মার্চের পরেই লোকসভার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হতে পারে বলেই খবর মিলেছিল। সবার সম্ভাব্য দিন ঘোষণা কবে হতে পারে সেই ইঙ্গিতই মিলেছে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে তা খতিয়ে দেখতেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর সফর করবেন এবং তার পরেই লোকসভা নির্বাচনের তারিখগুলি প্রকাশ করা হতে পারে বলেই সূত্রে খবর মিলেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, “একবার মূল্যায়ন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এবং বুধবার সফর শেষ হলে, কমিশন বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে।” জানিয়ে রাখা ভাল, সুপ্রিম কোর্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন করার নির্দেশ দেওয়ার পরে কমিশনের জম্মু ও কাশ্মীরে সফর আসে। কেন্দ্র তখন প্যানেলকে মূল্যায়ন করতে বলেছিল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন লোকসভা নির্বাচনের সাথে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে পারে কিনা। সেই বিষয় খতিয়ে দেখতেই কমিশনের কর্ম কর্তারা জম্মু-কাশ্মীর যাবেন। তারপরেই লোকসভা নির্বাচনের দিন জানানো নিয়ে ঘোষণা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হবে। যতদূর জানা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনের বিষয়ে, কমিশনকে নিরাপত্তা সংস্থার দ্বারা একটি সম্পূর্ণ ব্রিফিং দেওয়া হয়েছে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল সহ পুরো প্যানেল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের শেষ বিধানসভা নির্বাচন ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে রাজ্যটিকে বিভক্ত করা হয়েছিল। সেই থেকেই রাজ্যে কোনও সরকার ক্ষমতায় নেই।