মহানগর ডেস্ক: জন্মাষ্টমীতে মাঝরাতে নিয়ম ভেঙে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢোকায় মধ্যপ্রদেশের ঐতিহ্যশালী রাজ পরিবারের (Madhya Pradesh Royal Family) “রানি”কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনি মন্দিরের নিয়ম ভেঙেছেন বলে সন্দেহের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতি বছর নিয়ম অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবে মাঝরাতে বুন্দেলখণ্ডের শ্রীযুগল কিশোর মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে। বুন্দেলখণ্ডের পাশাপাশি পান্নাতেও শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব পালন করা হয়।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন রাজপরিবারের রানি জিতেশ্বরী দেবী অনুষ্ঠানে আরতি করার জন্য জোর করে মন্দিরের ধর্মীয় রীতিভঙ্গ করেছেন। তিনি যখন গর্ভগৃহে ঢোকার চেষ্টা করেন, তখন তাঁকে ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। জিতেশ্বরী দেবী মন্দিরের মেঝেয় পড়ে যান। এরপর গোলমাল দেখা দিলে মন্দিরে পুলিশ এসে পৌঁছয়। তাঁকে মন্দির চত্বর ছেড়ে যেতে বলে পুলিশ। ঘটনার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা হলে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
পুলিশ ও মন্দির কর্তৃপক্ষের লোকজনের সঙ্গে রানিকে রীতিমতো তর্কাতর্কি করতে দেখা যায়। উপস্থিত থাকা স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন রানি জিতেশ্বরী মদ্যপ ছিলেন এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের লোকজনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি,মারপিট করার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ তাঁকে টানতে টানতে মন্দিরের বাইরে নিয়ে যায়। পান্নার এসপি জানিয়েছেন রীতি অনুযায়ী একমাত্র রাজ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা জন্মাষ্টমীতে মন্দিরে সেবাইতের সাহায্যে “ছানওয়ার” দিয়ে থাকেন।
জিতেশ্বরী দেবীর ছেলে আসতে না পারায় তিনিই রীতি পালনের চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় জিতেশ্বরী দেবীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ যখন তাঁকে মন্দির থেকে বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল তখন জিতেশ্বরী মধ্যপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন পান্নায় ডিফেন্স ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে ৬৫,০০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন কেলেঙ্কারি নিয়ে সরব হওয়ায় তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।