মহানগর ডেস্ক : মুখোশপরা বন্দুকধারীকে জঙ্গি ভেবে সপাটে চড়! (Man Slapped Masked Armed “Terrorist”) কিন্তু পরে জানা যায় যাকে মুখোশপরা জঙ্গি ভেবে চড় মারা হয়েছে, তিনি আসলে জঙ্গি নন। তিনি পুলিশ। ততক্ষণে অবশ্য ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ধুলে জেলায় ভিড়ে ঠাসা মন্দিরে এমন ঘটনা ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন দেখা যায়। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর যখন আসল বিষয়টি জানা যায় তখন ওই ব্যক্তির সাহসের প্রশংসা করার বদলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিল নেটিজেনদের কাছ থেকে। কারণ যে মুখোশপরা বন্দুকধারীকে মন্দির চত্বরে থাপ্পর মারা হয়েছিল, তিনি জঙ্গি নন। তিনি একজন পুলিশ অফিসার। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার স্বামী নারায়ণ মন্দির চত্বরে। এক হাতে বন্দুক, মুখে মুখোশ সাঁটা ব্যক্তিকে একজনের মাথায় বন্দুক তাক করতে দেখে সেখানে জমায়েত হওয়া ভক্তদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ভয়ে মহিলারা ও শিশুরা চিৎকার করতে শুরু করে।
পরে জানা যায় গোটা ঘটনাটি আসলে পুলিশের মক ড্রিল বা নকল মহড়া। তবে এটি যে নকল মহড়া,তা জানা ছিল না প্রশান্ত কুলকার্নি নামে সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তির। তিনি হাঁটু মুড়ে বসা ব্যক্তির মাথা তাক করে মুখোশধারীকে দেখে তিনি মেজাজ হারান। ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, আপনার কি কোনও বুদ্ধি আছে? তাঁর ছোট্ট মেয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। তারপরই পরপর দুটো থাপ্পর কষান ওই বন্দুকধারীকে। এরপরই আশপাশে থাকা পুলিশ অফিসাররা ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁরা গোটা বিষয়টি কুলকার্নিকে জানান।
তাঁকে শান্ত হতে বলেন। জানান যাঁকে তিনি থাপ্পর মেরেছেন তিনি একজন পুলিশ অফিসার। ওই ব্যক্তিকে কয়েকজন পুলিশ অফিসার সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন। এক প্রবীণ অফিসার জানান এ ধরণের পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা পরখ করতেই এই মক ড্রিলের আয়োজন করে হয়েছিল। একইসঙ্গে এই ধরণের পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রতিক্রিয়াও যাচাই করা হয়। তারা কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় সেটাও লক্ষ্য রাখা হচ্ছিল। তবে এই মহড়া সফল বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। আগামী দিনে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে রাখার জন্য এ ধরণের মক ড্রিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।