মহানগর ডেস্ক: প্রচার মাধ্যমে কোনও লেখায় মিথ্যে বিবৃতি বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতাকে প্ররোচিত করে না। এটি আইনে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না। হতে পারে বিবৃতিটি ভুল। মণিপুর হিংসা নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টের কারণে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়ার (Manipur Violence) চার সদস্যের গ্রেফতারির ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষার মেয়াদ বৃদ্ধি করে এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, দেশজুড়ে সাংবাদিকরা ভুল বিবৃতি দিয়ে থাকেন,তাহলে তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই মামলা করতে হবে? প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ বা ইঙ্গিত নেই।
তাঁর পাল্টা প্রশ্ন কেন চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করা হবে না? সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে সাংবাদিকরা একটি ভিউপয়েন্ট সামনে আনতেই পারেন। এফআইআরে উল্লিখিত অপরাধের কথা আদালতের সামনে আনা হোক। ওটা স্রেফ রিপোর্ট। যে ধারায় তাঁদের অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই অপরাধের বিষয়টি সেখানে আসেই না। সর্বোচ্চ আদালত চারজন এডিটর্স গিল্ডের সদস্যের গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষার মেয়াদও বাড়িয়ে দেয়।
এ মাসের দু তারিখে এডিটর্স গিল্ডের চার সদস্যের দল মণিপুরে হিংসা নিয়ে চব্বিশ পাতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশ করে। রাজ্যে প্রচারমাধ্যমের রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে ওই চার সদস্যকে পাঠানো হয়। এডিটর্স গিল্ডের দাবি মণিপুরে জাতিগত হিংসা নিয়ে প্রচার মাধ্যমের খবর এক তরফা। তারা রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগ করে। দিন কয়েক আগে মণিপুর সরকার গিল্ডের প্রেসিডেন্ট ও গিল্ডের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তাদের সবার বিরুদ্ধে মণিপুরে হিংসাদীর্ণ রাজ্যে আরও হিংসা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে অভিযোগ করে সরকার। এফআইআরে এডিটর্স গিল্ডের চার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধির অভিযোগ সহ একাধিক ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে অভিযোগ আনা হয়।
.