মহানগর ডেস্ক: মৃত্যুর পর দেহ সমাধি দেওয়া হয়েছিল চার বছর আগে। চার বছর আগে সমাধি থেকে দেহ তোলার পর দেখা যায় দেহ পুরো অবিকৃত হয়েছে। দেহে বিন্দুমাত্র পচন ধরেনি (No Sign Of Decomposition)। এমন আশ্চর্য ঘটনার পরেই মুসৌরিতে (Miracle Of Missuri) তা দেখতে দলে দলে মানুষ আসতে শুরু করেন। ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের। তবে এই ঘটনার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি।
অনেকে সিস্টার উইলবেমিনা ল্যাঞ্চেস্চারের সমাধিস্থ দেহের এমন অবিকৃত অবস্থাকে মুসৌরির অলৌকিক ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। বেনেডিক্টটাইন সিস্টারস অব মেরির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ল্যাঞ্চেস্টার। ২০১৯ সালে ৯৫ বছর বয়েসে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ কাঠের কফিনে মুসৌরির গোয়ারে সমাধি দেওয়া হয়।
মৃত্যুর চার বছর পর গত সপ্তাহে বেনেডিক্ট সিস্টারস মিশন সিদ্ধান্ত নেয় ল্যাঞ্চেস্টারের দেহ সমাধি থেকে তুলে প্রতিষ্ঠাত্রীকে সম্মান জানাতে কনভেন্টের চ্যাপেলের বেদির নীচে নতুন করে সমাধি দেওয়া হবে। এরপরই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। কফিনটি খোলার পর দেখা যায় কফিনের মাঝখানে সামান্য ফাটল ধরে আছে।
সমাধি ক্ষেত্রের কর্মী তাঁদের জানান চার বছর আগে সাধারণ একটি কফিনে ঠিক যেভাবে তাঁকে সমাধি দেওয়া হয়েছিল, তেমনভাবেই দেহটি অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সন্যাসী জানান যখন মাদার আব্বেল সিসিলিয়া কফিনের ফাটলে উঁকি মেরে দেখেন তিনি দেখতে পান পুরোপুরি অবিকৃত অবস্থায় মোজা পরা অবস্থায় ল্যাঞ্চেস্টার কফিনে শুয়ে রয়েছেন।
ঠিক যে অবস্থায় তাঁকে কফিনে রাখা হয়েছিল,ঠিক সেই অবস্থাতেই শুয়ে আছেন তিনি। অলৌকিক দৃশ্যটি দেখে চিৎকার করে ওঠেন সিসিলিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে যাওয়ার পরেই শয়ে শয়ে মানুষ মুসৌরিতে আসেন। আগামী কিছুদিন সিস্টার ল্যাঞ্চেস্টারের দেহ রাখা হবে। তারপর দেহটি মুড়ে দেওয়া হবে কাচে। তবে ঘটনা হচ্ছে মমি বা বিশেষ ধরণের রাসায়নিক দিয়ে দেহ সংরক্ষণ করা না হলে, দেহে ধীরে ধীরে পচন ধরতে বাধ্য। কীকরে এমন ঘটনা ঘটল,তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।