মহানগর ডেস্ক : কোভিড অতিমারির পর আতঙ্কের নতুন নাম ‘নিপা’। আপাত নিরীহ নামের এই নিপা ভাইরাস মাথাচাড়া দিচ্ছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরলে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ২ জন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।
করোনা সংক্রমনে মৃত্যুর হারের তুলনায় নিপা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কোভিডের ক্ষেত্রে মৃত্যু হার যেখানে ২-৩ শতাংশ। সেখানে নিপায় মৃত্যু হার ৪০-৭০ শতাংশ। নিপা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আরও অন্তত ২০টি ডোজ আনা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। এর আগে ২০১৮ সালে ওই অ্যান্টবডি আনা হয়েছিল। তার মধ্যে বর্তমানে যতটুকু আছে, তাতে ১০ জন রোগীর চিকিৎসা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।আইসিএমআর-এর ড. রাজীব বাহল বলেছেন, কোভিডের মর্টালিটি রেট ছিল ২-৩ শতাংশ, নিপার মর্টালিটি রেট এর বহু-বহু গুণ বেশি– ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ! ড. রাজীব বাহল বলেছেন, এটা অসম্ভব রকমের বেশি মাত্রার মৃত্যুহার। ফলে সাবধান হতেই হবে সব পক্ষকে। কয়েকদিন আগেই কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছিলেন, কোঝিকোড় জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকে সতর্কতামূলক পন্থা হিসেবে মাস্ক পরতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী-সহ যাঁরা হাসপাতালগুলিতে নিপা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন তাঁদের পিপিই কিট পরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে কারণে অকারণে যখন-তখন হাসপাতালে বা তার সংলগ্ন এলাকায় যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তিনি।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যবাসীকে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, নিপায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন ইতিমধ্যেই তাঁদের চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে কোন রকম ক্ষতি না হয় সেই দিক বিচার করে জেলা প্রশাসনের তরফে সপ্তাহব্যাপী অনলাইন ক্লাস নিশ্চিত করা হয়েছে। কোঝিকোড়েতে নিপার থাবা সবচেয়ে জটিল হলেও কেরলের কান্নুড়, ওয়েনাড় এবং মলপ্পুরমেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্যে পাঁচ সদস্যের একটি দল কেরলে পাঠানো হয়েছে।