মহানগর ডেস্ক: বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার(Birth Control Surgery ) করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক ২৮ বছরের তরুণীর। যে ঘটনা ঘটেছে তা শুনে সকলেই হতবাক হয়েছে। চিকিৎসক নেই বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে তার কম্পাউন্ডার করেছিলেন বন্ধ্যাকরণের জন্য অস্ত্রোপচার। তাতেই ঘটেছে বিপত্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমষ্টিপুরে একটি বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জুনিয়র স্টাফ ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে তার কম্পাউন্ডার মহিলার উপর একটি বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার করার সময়েই বিপত্তি ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাটি রাজ্যের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সমস্তিপুর জেলার একটি ছোট শহর মুসরিঘরারিতে। জানা গিয়েছে মৃত ববিতা দেবীর স্বজনরা জানিয়েছেন যে তারা যুবতিকে আনিশা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে একটি জীবাণুমুক্ত অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে এসেছিলেন। ছোট্ট স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি একটি দোতলা ভবনের প্রথম তলায়।
ওই মহিলার স্বজনরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কর্মীরা তাঁদের বলেছিল যে কোনও চিকিৎসক নেই। তারপর, কম্পাউন্ডার অস্ত্রোপচার পরিচালনা করতে এগিয়ে আসে। মৃত মহিলার কাকু বলেছেন, “আমরা তাকে সকাল ৯টার দিকে এখানে নিয়ে এসেছি। তারা তাকে লবণাক্ত জল; দিয়েছিল। সকাল ১১টার দিকে, তারা অস্ত্রপ্রচারের প্রক্রিয়া শুরু করে। প্রায় এক ঘন্টা পরে, তারা তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে এবং তাকে দ্রুত মোহনপুরের (প্রায় 10 কিলোমিটার দূরে) একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ” তিনি আরও জানান, “পরিবারের সদস্যদের তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি, তবে বাড়ির সকলে যখন মহিলাকে স্পর্শ করে তখন শরীর ঠান্ডা ছিল। তখনই মারা যায় সে , কিন্তু তারা আমাদের কিছু না বলে মোহনপুরে ছুটে যান।” ববিতা দেবীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তার স্বজনরা মরদেহ আনিশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিরিয়ে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিবারের অভিযোগ যে মুসরিঘরারি শহরের কোনো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে একজন ডাক্তার এবং জুনিয়র স্টাফ নেই । যাঁরা কম্পাউন্ডার নামে পরিচিত তাঁরাই সমস্ত চিকিৎসা পদ্ধতি পরিচালনা করছেন এবং রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন৷ আনিশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা পলাতক রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার দাবি জানিয়েছেন ওই মহিলার পরিজনরা। স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়জুল আনসারি জানান, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।