নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গে বিবাহে এখনই স্বীকৃতি নয়, আজ সাফ জানাল শীর্ষ আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট জোর দিয়ে বলেছে যে যৌন ইচ্ছার ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তির সম্পর্কে যাওয়ার অধিকার সীমাবদ্ধ করা যায় না। আজ পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ চারটি রায় দিয়েছে। সেই সঙ্গেই সমলিঙ্গে বিবাহের সিদ্ধন্ত কেন্দ্রের উপর ছেড়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারকরা কেন্দ্রকে সমকামী দম্পতিদের ব্যবহারিক উদ্বেগ, যেমন রেশন কার্ড, পেনশন, গ্র্যাচুইটি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধান করার জন্য একটি কমিটি গঠনের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
কেন্দ্র ৩মে আদালতকে বলেছিল যে বিবাহের সমতা প্রশ্নে না গিয়ে সমকামী দম্পতিদের মুখোমুখি সমস্যার প্রশাসনিক সমাধান অন্বেষণ করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। দত্তক নেওয়ার অধিকারের প্রশ্নে বেঞ্চ ৩-২ রায় দিয়েছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এস কে কৌল ক্যুয়ার দম্পতিদের দত্তক নেওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, যেখানে বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি হিমা কোহলি দ্বিমত পোষণ করেছেন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেছেন, “বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি কোনও অনড়, অটল বিষয় নয়। বিবাহে বিবর্তন আসে। জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা প্রত্যেকের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
প্রধানবিচারপতি বলেছেন, “আমাদের কতদূর যেতে হবে তা নিয়ে এক মাত্রার সমঝোতা এবং এক মাত্রার মতপার্থক্য রয়েছে। আমি বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা এবং ক্ষমতা পৃথকীকরণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি।” প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা একজন ব্যক্তির জীবনের পথ বেছে নেওয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ কেউ এটাকে তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে মনে করতে পারে। এই অধিকারটি ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে জীবন ও স্বাধীনতার অধিকারের মূলে যায়।”