মহানগর ডেস্ক: রবিবার বেঙ্গালুরুতে একজন দ্বিতীয় বর্ষের নার্সিং ছাত্রী এবং তাঁর সঙ্গী তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কোথানুর থানা পুলিশ।দম্পতিদের বয়স যথাক্রমে ২০ বছর বয়সী সৌমিনি দাস, যিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা আর ২৯ বছর বয়সী অভিল আব্রাহাম কেরালার বাসিন্দা। সৌমিনি বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি কলেজে নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, তিনি অভিল শহরে একটি নার্সিং পরিষেবা সংস্থা পরিচালনা করত। সৌমিনি এবং অভিলের মধ্যে কয়েক মাস আগে দেখা হয় এবং প্রেমে পড়েন।
পরে তারা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু জানা যায়, সৌমিনী ইতিমধ্যেই বিবাহিত, তাঁর স্বামী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ২০ বছর বয়সী নার্সিং ছাত্রী সম্প্রতি তার নিজ শহরে ফিরে গিয়েছিলেন। পুলিশ বলেছে যে, সে আর সম্পর্ক এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিয়েতে থাকতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পুলিশের সন্দেহ, সৌমিনীর স্বামীই বোধহয় তাঁকে এবং অভিলকে জ্বালিয়ে দেয়। এরপর রবিবার, প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে ফ্ল্যাটে ছুটে আসেন এবং তারা জোর করে প্রবেশ করে, এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা সত্ত্বেও সৌমিনি কে বাঁচানো যায়নি।
পরে অভিলকে দ্রুত ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি মারা যান। কোথানুর পুলিশ এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর জন্য এফআইআর দায়ের করেছে এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন নোট আবিষ্কৃত হয়নি, এবং কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য সৌমিনি এবং অভিলের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করছে।