মহানগর ডেস্কঃ কেটে গিয়েছে প্রায় দুই বছর। নিয়োগ দুর্নিতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেদিন তারিখটা ছিল ২৩ জুলাই ২০২২৷ ২২ জুলাই রাত থেকেই শুরু হয় পার্থর নাকতলার বাড়ীতে জোড় তল্লাশি। রাতভর তল্লাশির পর ২৩ জুলাই সকাল ১০ টা নাগাদ ইডির অফিসারদের কাছে গ্রেফতার হয় পার্থ। আর তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ১ বছর ৭ মাস৷ এর মাঝে শারীরিক অসুস্থতা এবং তদন্তের ধীর গতির ইস্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক বার জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থের আইনজীবী।যদিও সেইসব আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি পার্থ’র।
তবে, আজ বুধবার যেন পার্থের কোণঘেঁষেই কথা বলতে দেখা গেল হাইকোর্টের বিচারপতির। এদিন তিনি ইডি কে বলেন, ‘‘অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে হেফাজতে রাখা যায় না। ১ বছর ৭ মাস জেলে আছে। গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু কতদিন ?’’ এ প্রসঙ্গে বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে ১ বছর ৭ মাস। বিচার প্রক্রিয়া (ট্রায়াল) কবে শুরু হবে? জানি এটা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত, তবে সময় অনেক পেয়েছে ED। এবার ইডি কে জানাতে হবে।’’
তারপরেই আগামী ২৭ ফেব্রয়ারি ইডি কে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সঙ্গে ইডি স্পেশাল ডিরেক্টরের রিপোর্ট তলব করেন তিনি।এরপরে কবে থেকে ইডি তাদের বিচারপর্ব শুরু করবে তা সম্পর্কেও জানাতে হবে আদালতে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখিত, বাম জমানায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন । এরপরে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে একেবারে প্রথমসারির নেতা হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেন পার্থ।তিনি ছিলেন দলের মুখ্যসচিব৷ শিক্ষা দফতর, শিল্প দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার ছিল তাঁর হাতে।এবং তৃণমূল গোষ্ঠীতেও তাঁর জায়গা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।