মহানগর ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় পদে পদে বাধা। ন্যায় যাত্রায় তৃণমূল যোগ না দিলেও সিপিআইএম যোগ দেবে, আগেই জানিয়েছিল তারা । বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রায়’ তারা উপস্থিত থাকবে। এখনও পর্যন্ত তেমনটা স্থির রয়েছে। তবে রয়েছে শর্ত। জেনে নিন কি সেই শর্ত।
জানা গিয়েছে বামেরা নজরে রাখছেন তৃণমূলের গতিবিধির উপর। সেই অনুযায়ী তাঁরাও এগোবেন। বাংলায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে পারে বামেরা। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, মালদহ- মুর্শিদাবাদে ন্যায় যাত্রায়’ থাকতে চলেছেন একের বেশি বাম নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে তাদের নেতৃত্বের কাছে এরূপ আবেদন করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।সূত্রের খবর, আগামী ৩১ জানুয়ারি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ আসার কথা মালদহে। উপস্থিত থাকছে শতরূপ ঘোষ সহ র অনেকে। মুর্শিদাবাদে ‘ন্যায় যাত্রা’ পৌঁছনোর কথা ১ ফেবরুয়ারি। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও যাতে সেখানে থাকেন, তার জন্য সিপিআইএম নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ২রা ফেব্রুয়ারী ‘ন্যায় যাত্রা’, ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম দুই শরিক দল কংগ্রেস ও তৃণমূল। তবে আসন সমঝোতার দরুন বাংলার রাজনীতির সমীকরণ ঘিরে রাজ্যে বেশ জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কয়েক দিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় তিনি একাই লড়বেন। সব কিছুর মধ্যে দিয়েই রাহুলের ন্যায় যাত্রা চলছে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাহুল যে বাংলায় আসছেন, সেকথাও কংগ্রেসের তরফ থেকে তাঁকে জানানো হয়নি। বলেছিলেন, “জোটের শরিক হিসেবে সৌজন্যের খাতিরেও তো জানাতে পারত, দিদি আপনার রাজ্যে যাচ্ছি।” এ দিকে, বামেরাও প্রথম থেকেই বলে আসছিল ন্যায় যাত্রায় তৃণমূল থাকলে তাদের পাশে পাবে না কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ন্যায় যাত্রায় সবুজ শিবির যোগদান করছে না বলেই জানা যাচ্ছে। ফলত বামেদের পাশে পেতে পারে কংগ্রেস। পরবর্তী যাত্রা বীরভূমে। সেখানে রাহুলকে সঙ্গ দিতে পারেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।