মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালি জুরে চলছে দফায় দফায় অশান্তি। উত্তেজিত কাছারিবাড়ি এলাকার মানুষজন বেড়মজুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছারিবাড়ি এলাকার অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতির বাড়ি ভাঙচুর করে। এখানেই শেষ নয় তাঁকে এলাকার মহিলারা জুতো দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরেই পরেই সন্দেশখালি বেরমজুর এক ও দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এমনটাই জানিয়েছেন এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকার।
সন্দেশখালি বেড়মজুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝুপখালি এলাকায় মাছ চাষের আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় ৪০০ বিঘা জমি জোর করে দখল করে সেখানে দিনের পর দিন চলত রমরমিয়ে মাছের চাষ। এই অভিযোগ ওঠে সাহাজাহানের ভাই শেখ সিরাজের বিরুদ্ধে। আর তাঁর এই কাজে সাহায্য করত সাহাজাহানের ডান হাত অজিত মাইতি। এদিন ঘটনাটি ঘটার পরেই সেখানে পরিস্থিতি সামলাতে পৌঁছায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্ত অজিত মাইতির সঙ্গে কথা বলেন এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকার। অজিতের কাছে অভিযুক্তদের নাম জানতে চান তিনি। সঙ্গে আশ্বাস দেন, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার অরা হবে। তবে তিনি পাল্টাও বলেন যা যদি কোনও অভিযোগ অজিতের বিরুদ্ধেও ওঠে সেক্ষেত্রে তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে। এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকারের সঙ্গে এলাকা পরিদর্শন করে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার৷ সঙ্গে গ্রামবাসীদের নিজের হাতে আইন তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিন কাছাড়িপাড়ায় গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে রাজীব কুমার বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে পুলিশের ক্যাম্প বসছে৷ সেখানে সকলের অভিযোগ নেওয়া হবে৷ সব কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা হবে৷ কিন্তু, কেউ যদি নিজের হাতে আইন তুলে নেয়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে সবার আগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’ আজ, শুক্রবার শেখ শাহজাহান অনুগামী তৈয়েব খানের মাছের ভেড়ির আলা ঘরে আগুন ধরিয়ে দিল গ্রামের উত্তপ্ত মানুষ। এদিন সকাল সকাল ঘটে যায় গোটা ঘটনাটি। তৈয়েব খান শেখ শাহজাহানের হয়ে এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি করেছিল, এমনিই অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। কোনও রকম টাকা পয়সা মিলত না, তার বদলে টাকা পয়সা চাইতে গেলে কপালে জুটত হুমকি। তাই আজ কার্যত এলাকার মানুষ একজোট হয়ে তাঁদের সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিরোধী দল করে তাই আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় নাম আসার পরেও সেই নাম কেটে দিয়েছে, বিধবা ভাতার তালিকায় নাম আসার পরেও সেই নাম কেটে দেওয়া হয়েছে, বার্ধক্য ভাতা করে দেওয়া হয়নি। আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রিপল বা সরকারের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়নি। এতদিন অসহায় অবস্থায় ছিল কয়েকশো পরিবার ।