মহানগর ডেস্ক: ২০১৯ সালে মোদী সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA কথা ঘোষণা করেছিল। পরিণত করা হয়েছিল আইনে। যা নিয়ে কম ঝড় ওঠেনি দেশজুড়ে। সিএএ নিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। ভারত জুড়ে এই আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের কারণে সিএএ কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তারপরে পেয়েছে অনেকটা সময়। তবে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সময় উল্লেখ করে জানিয়ে দিলেন দেশে ভারতে কবে কার্যকর করে সিএএ।
সামনেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলে এমনই উত্তাপ বাড়ছে তাঁর মধ্যেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে পাশে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ফাটালেন বোমা। তিনি জানিয়েছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ কার্যকর হবে। তাঁর কথায়, নিয়মগুলি তৈরি এবং অনলাইন পোর্টালটিও রয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হবে। যোগ্য ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিজেপি নেতা বলেছেন, “ইতিমধ্যেই রামমন্দির উদ্ঘাটন হয়েছে। আর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতবর্ষে সিএএ কার্যকর হবে। আজ এই মঞ্চ থেকে এই গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। পশ্চিমবঙ্গ সহ প্রত্যেকটা রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবে। আপনারা সেটা দেখতে পাবেন। যাঁরা ১৯৭১ সালের পরে ভারতবর্ষে এসেছেন… এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আপনাদের ভোটার কার্ড থাকলে, আধার থাকলে আপনারা নাগরিক। আপনি ভোট দিতে পারছেন, আপনি ভোট দেওয়ার নাগরিক। কিন্তু এখানে শুনেছি কয়েক হাজার মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে, কেন এই মানুষদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হল। এরা সকলে মতুয়া সম্প্রদায়ের। এরা ভারতীয় জনা পার্টির সমর্থক। তাই এদের ভোটার কার্ড করে দেওয়া হবে না।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার চাইলেও CAA আটকাতে পারবেন বলেও শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছেন। জানিয়ে রাখা ভাল, ২০১৯ সালে কেন্দ্র যখন এই আইন প্রনয়ণের কথা জানিয়েছিল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, “বাংলায় আমরা সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি হতে দেব না।” সেই কথা এদিন উল্লেখ করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কেন বলছেন যে যারা এসেছে, তারাই নাগরিক। নাগরিক যদি হয়, তাহলে পাসপোর্টের যাচাইকরণের জন্য যখন ডিআইবি-র কাছে যাওয়া হচ্ছে, ডিআইবি কেন ১৯৭১ সালের আগের দলিল চাইছে? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। আমাদের তো ভোটারকার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড দেখেই পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন করা উচিত। এই সব রাজ্য সরকার রাজনীতির জন্য করছে। তবে যারা ১৯৭১ সালের পরে এসেছে, তাদের আমাদের নাগরিকত্ব প্রয়োজন। কারণ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে হবে। যাতে তাদের কোনওদিন রোহিঙ্গাদের মতো বেরিয়ে না যেতে হয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকর করবে।” উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পর মোদী সরকার জানিয়েছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ সহ ৬টি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে এই আইনের মাধ্যমে। তার জন্য বেশ কয়েকটি শর্তও ছিল।