মহানগর ডেস্ক: গতকালই লোকসভায় পেশ করা হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। আজ সেই বিল নিয়ে সংসদে বিতর্কে কংগ্রেসের তরফে নেতৃত্ব দেবেন দলের সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Leads Debate On Women Bill)। নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম নামে বিলটিতে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে ৩৩ শতাংশ মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির রাজনৈতিক চাল বলে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে।
২০১০ সালে রাজ্যসভায় পাস হওয়া বিলটি বিভিন্ন রাজ্য ও লোকসভা ভোটের আগে হিমঘর থেকে নিয়ে আসার পেছনে বিজেপির ভোটের অঙ্কই কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে মনমোহন সিংয়ের ইউপিএ সরকার রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করেছিল। বিলটি পাস হয় ২০১০ সালে। তবে তারপর থেকে বিলটি কখনও লোকসভায় পেশ করা হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিলটি পাস করা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদের দুই কক্ষে আর্জি জানান বিলটি যেন সর্বসম্মতিক্রমে পাস করা হয়। বিলটি পাস হলে ভারতীয় গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে। মোদী বলেন, নারীশক্তি বন্দন অভিনিয়ম ভারতের গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করবে। নারীশক্তি বন্দন অভিনিয়মের জন্য তিনি মা ও বোন, কন্যাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। দেশের সমস্ত মা, বোন ও কন্যাদের তাঁর আশ্বাস বিলটিকে তাঁরা আইনে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ বেলা এগারোটা নাগাদ সংসদ শুরু হওয়ার পরই বিলটি বিতর্ক, আলোচনার জন্য পেশ করা হবে। যদিও বিলটিকে বিরোধীরা ইলেকশন জুমলা বলে আখ্যা দিয়ে বিলে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সেই বিল কার্যকর করার সময়সীমা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। কংগ্রেস জানিয়েছে যতক্ষণ না জনসুমারি ও ডিলিমিটেশন হচ্ছে, ততদিন বিলটি কার্যকর হবে না। বিলটিতে সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ কোটার কথা বলা হয়েছে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর বিলটি ২০২৯ সাল না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর হবে না। আজ সকালে সংবিধান সংশোধনী বিল লোকসভায় পেশ করার কথা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের। এছাড়া অ্যাডভোকেট বিল (সংশোধনী) বিলও পেশ করবেন তিনি।