মহানগর ডেস্ক: গুরুগ্রামে মা-বাবা পাঁচতারা হোটেলের রেস্তোরাঁয় ব্রেকফাস্ট খেতে এসেছিল সাত বছরের ফুটফুটে মেয়েটি। ব্রেকফাস্ট খাওয়ার সময় ওয়েটারের চায়ের কাপ ফস্কে গরম চা পড়ে যায় তার গায়ে (Spilling Hot Tea On Child Girl)। এই ঘটনায় ওই ওয়েটারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তার বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটে তিরিশে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে নটা নাগাদ।
পঞ্চাশ বছরের নিশান্ত জৈন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে জে ডবলিউ ম্যারিয়ট হোটেলের রেস্তোরাঁয় ব্রেকফাস্ট খেতে আসেন। চব্বিশ সেপ্টেম্বরে রেস্তোরাঁর একটি টেবিল বুক করেছিলেন তিনি। ব্রেকফাস্ট খাওয়ার সময় মোনালিলা বাসুমতী নামে এক ওয়েটার গরম চা ভর্তি কেটলি নিয়ে আসছিলেন। সেসময় আচমকাই কেটলিটি ধাক্কা লাগে। কেটলি থেকে গরম চা চলকে মেয়েটির বাঁ হাতে গিয়ে পড়ে। গরম চা পড়ে হাতটি পুড়ে যায়। অভিযোগ ওয়েটার শিশুটি যখন যন্ত্রণায় চিৎকার করে কাঁদছিল, তখন তাকে চিৎকার করে কাঁদতে বারণ করে। এটি নিয়ে কারোকে কিছু না বলে শান্ত থাকার কথা বলে।
ওই ঘটনার পর জৈন ক্লাস থ্রির ছাত্রী মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানে হাতের ওপর হালকা ক্ষতের চিকিৎসা করেন। এরপর তাঁরা মেয়ের মামা বাড়ি থানেতে যান। সব দেখে শুনে ওই ওয়েটারের নামে মামলা দায়ের করেন মেয়ের দাদু। রেস্তোরাঁয় সেসময় উপস্থিত এক বিদেশি জানান মেয়েটির হাতে গরম চা পড়ে যাওয়ায় ওয়েটার তাকে বকাঝকা করেন। ওয়েটারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।